সৌরশক্তি বিকাশে আইএসএকে উদ্ভাবনী প্রযুক্তি প্রবর্তন করতে হবে: নসরুল হামিদ
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, সৌরশক্তি বিকাশে ইন্টারন্যাশনাল সোলার এলায়েন্সকে (আইএসএ) উদ্ভাবনী প্রযুক্তি প্রবর্তন এবং অভিজ্ঞতা বিনিময়ের কেন্দ্রবিন্দু হতে হবে। দূরদর্শী দৃষ্টিভঙ্গি ও সদস্যদের চাহিদা বিবেচনা করে কর্মসূচি গ্রহণের মাধ্যমে আইএসএ সৌর বিদ্যুৎ প্রসারে কার্যকরী অবদান রাখতে পারবে।
সোমবার অনলাইনে ইন্টারন্যাশনাল সোলার এলায়েন্স-এর নবম স্ট্যান্ডিং কমিটির সভায় এসব কথা বলেন নসরুল হামিদ।
তিনি বলেন, সমন্বিতভাবে পরিকল্পনা করতে পারলে সোলার প্রকল্পের কার্যকর বিকাশ সম্ভব হবে। সৌরশক্তিকে সারাবিশ্বই অগ্রাধিকার দিচ্ছে। বাংলাদেশও সৌরশক্তির বিকাশে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য উৎস হতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা প্রায় এক হাজার ২০০ মেগাওয়াট। এর মধ্যে সোলার পার্ক হতে ৪৬১ মেগাওয়াট এবং সোলার রুফটপ থেকে প্রায় ৩৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে।
নসরুল হামিদ আরো বলেন, এক হাজার ২৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতার সোলার পার্ক নির্মাণাধীন এবং নবায়নযোগ্য উৎস হতে প্রায় নয় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রকল্পগুলোর কাজ বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে। সঠিক নীতি ও প্রবিধান দ্বারা সৌরশক্তিতে বিনিয়োগ ত্বরান্বিত করা গেলে সৌর প্রকল্পসমূহের সম্প্রসারণ দ্রুত সম্ভব হবে।
কান্ট্রি পার্টনারশিপ চুক্তি ও কৌশল চূড়ান্ত হওয়ার পর বিদ্যুৎ বিভাগের সহযোগিতায় আইএসএ, সৌর শক্তিচালিত কৃষি অ্যাপ্লিকেশন, কোল্ড স্টোরেজ, স্লুইসগেট অটোমেশন, জরুরি স্বাস্থ্যসেবা সোলার রুফটপ, চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে সোলার রুফটপ এবং ভাসমান সৌর প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই ও অগ্রগতিতে সহযোগিতা করবে।
ভারতের বিদ্যুৎ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিষয়ক মন্ত্রী আর কে সিং এর অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। এতে ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান, আইএসএ’র মহাপরিচালক ড. অজয় মাথুর এবং সদস্য রাষ্ট্রসমূহের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।