‘পার্বত্য চট্টগ্রামে ১২৪ বছরের পুরনো শাসনবিধি যুক্তিসঙ্গত নয়’
পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী মো. মজিবর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশের সংবিধান ১৬ বার সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বাংলাদেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ পার্বত্য চট্টগ্রামে ১২৪ বছরের পুরনো উপনিবেশিক পার্বত্য শাসনবিধি-১৯০০ বলবৎ রয়েছে, যা মোটেও যুক্তিসঙ্গত নয়। একই সঙ্গে রয়েছে ১৯৮৪ সাল থেকে বলবৎ হওয়া উপজাতি কোটা, যা পাহাড়ি বাঙালিদের সঙ্গে চরম বৈষম্য ছাড়া কিছু নয়।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে বৈষম্য, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ মুক্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম গঠন ও পার্বত্য চুক্তির সঙ্গে বাংলাদেশ সংবিধানের সাংঘর্ষিক ধারাগুলো সংশোধনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
লিখিত বক্তব্যে, পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙালিরা যেসব জায়গাগুলোতে বঞ্চিত কিন্তু উপজাতিরা একক সুবিধা ভোগ করছে, তার বিশদ বিবরণ তুলে ধরেন মজিবর রহমান।
তিনি বলেন, বহুল আলোচিত ২ ডিসেম্বর ১৯৯৭ সালে সংঘটিত ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি’ পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে ব্যর্থ হয়েছে। শান্তি চুক্তির নামে খুনি সন্তু লারমার গাড়িতে উড়ানো হয়েছে রক্তে অর্জিত লাল সবুজ পতাকা।
মূলত পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি ১৯৯৭ এবং ১৯০০ সালের শাসনবিধির মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলে বাঙালিদের চতুর্থ শ্রেণির নাগরিকে পরিণত করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন এ নেতা।
এ সময় কাজী মো মজিবর রহমান আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টা সেদিন রংপুরে আবু সাঈদের বাড়িতে এক উপজাতি বোনের প্রশ্নের জবাবে তাদেরকে আদিবাসী হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। এটা হতে পারে ড. মুহম্মদ ইউনুসের স্লিপ অব টাং। তারা কখনোই আদিবাসী নয়, তারা সব সময় উপজাতি হিসেবেই পরিচিত হয়ে আসছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আপনারা জানেন ভারতের সেভেন সিস্টার্স রাজ্যগুলো স্বাধীনতার জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করে যাচ্ছে, তারা পার্বত্য এলাকায় তাদের ঘাটি গড়তে চায়।
তাই পার্বত্য অঞ্চলে সেনা প্রত্যাহার না করে সেনা টহল এবং দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় সীমান্ত রাস্তা তৈরি, কাঁটাতারের বেড়া তৈরি করাসহ বিজিবি’র চৌকি বৃদ্ধির দাবি জানান তিনি।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আলকাছ মামুন ভূইয়া, আব্দুল হামিদ রানা, মনিরুজ্জামান মনি, ছাত্র নেতা রাছেলসহ প্রমুখ।