বাঘাইছড়িতে এক ধর্মীয় গুরুর চিকিৎসায় সেরে উঠছে দুরারোগ্য ব্যাধি

রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার খেদারমারা ইউনিয়নের ঢেবাছড়ি গ্রামে মহানন্দ বৌদ্ধ বিহারের এক ধর্মীয় গুরু ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি স্থানীয়দের চিকিৎসা সেবা দিতে নিজ উদ্যোগে গড়ে তুলেছেন একটি হোমিও চিকিৎসা কেন্দ্র। ডাক্তার জ্ঞান কীর্তি ভান্তে (মিঠুন চাকমা)’র গড়ে তোলা এই চিকিৎসা কেন্দ্র পুরো এলাকার হাজারো মানুষের জীবন রক্ষায় প্রত্যক্ষভাবে ভূমিকা রেখে এগিয়ে চলছে। প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে বহু রোগী সেবা গ্রহীতা চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন। বিগত পাঁচ বছর আগে এলাকাবাসীর সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে ডাক্তার জ্ঞান কীর্তি ভন্তে (মিঠুন চাকমা) বিহারের পাশেই একটি কক্ষে এই সেবা কার্যক্রম শুরু করন। এরইমধ্যে ধর্মীয় গুরুর চিকিৎসার সুনাম চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীর চাপ সামলাতে যথারীতি হিমশিম খাচ্ছেন এই ধর্মীয় গুরু। বিভিন্ন যায়গায় ঘুরে সুস্থ না হয়ে ফিরে আসা এমন অনেক রোগী ওনার কাছে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন এমন নজিরও রয়েছে।
তেমনি একজন নারী জয়া চাকমা গলিত কুষ্ঠ রোগী তার দুই হাত দেখিয়ে বলেন, আমার হাতের সমস্যা নিয়ে আমি চট্টগ্রাম ও ঢাকায় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছি আমার দুইটি আঙুল কেটে ফেলা হয়েছে। তারপরও আমি সুস্থ হতে পারিনি। কিন্তু ডাক্তার জ্ঞান কীর্তি (মিঠুন চাকমা) ভান্তের কাছে এসে অল্প খরচে চিকিৎসা নিয়ে আমি এখন পুরোপুরি সুস্থ হয়েছি।
ভান্তের কাছে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন এমন বহু মানুষ রয়েছেন। মূলত এসব রোগীরাই এই প্রতিষ্ঠানের সুনাম চারদিকে ছড়িয়ে দিচ্ছেন। ঢেবাছড়ি গ্রামের শিক্ষিত সমাজ ধর্মীয় গুরুত্বপূর্ণ কাজের পাশাপাশি চিকিৎসা সেবার কাজ করায় ভান্তের ভূয়সী প্রশংসা করেন। এই ধর্মীয় গুরু ডাক্তার জ্ঞান কীর্তি ভান্তে (মিঠুন চাকমা) পড়াশোনা করেছেন এসএসসি- ২০১১ (রূপালী উচ্চ বিদ্যালয়), এইচএসসি- ২০১৩ (কাচালং সরকারী কলেজ), বিবিএস- ২০১৭ (রাঙামাটি সরকারি কলেজ) এবং এমএ অধ্যায়নরত DHMS- এইচএম পার্বত্য হোমিও প্যাথি মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতাল, খাগড়াছড়ি (৪ বছরের কোর্স) সম্পন্ন করেছেন।
এ বিষয়ে জ্ঞান কীর্তি ভান্তে বলেন, মানব সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতেই নিজ উদ্যোগে এই চিকিৎসা কেন্দ্র গড়ে তুলেছেন।