রাঙামাটি । রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ২৩ ভাদ্র ১৪৩১

ব্রেকিং

নানিয়ারচরে চেঙ্গী নদীতে ডুবে প্রতিবন্ধী আয়শার মৃত্যুবাঘাইছড়িতে নদীতে গোসল করতে নেমে কিশোরী নিখোঁজরাঙামাটিতে “শহীদি মার্চ” অনুষ্ঠিতহারানো ২৫ মোবাইল উদ্ধার করে মালিকদের ফিরিয়ে দিল পুলিশপার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান রিপন চাকমাকাপ্তাই হ্রদে পানি আরও বৃদ্ধি, এবার সাড় ৩ ফুট খোলা হলো জলকপাটের গেইট১২৭ দিন পর কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণ শুরুচাহিদা মতো চাদাঁ না দেওয়ায় আঞ্চলিক দলের বাঁধার মুখে কাপ্তাইয়ে জেলেদের মাছ ধরা বন্ধ, সরকার রাজস্ব হারাচ্ছেকাপ্তাই হ্রদে পানি আরও বৃদ্ধি, এবার ২ ফুট খোলা হলো জলকপাটের গেইটনিষেধাজ্ঞা শেষে মধ্যরাতে কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণে নামছেন জেলেরাকাপ্তাই হ্রদে ডুবে যুবকের মৃত্যু, মরদেহ উদ্ধারকাপ্তাইয়ে ৬ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগখাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় বন্যায় ক্ষতি ৫০ কোটি টাকালংগদুতে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যুরাঙামাটি পৌর এলাকা ও নানিয়ারচরে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত, ডুবে আছে সড়ক-ঘরবাড়িরাঙামাটিতে সেনা রিজিয়নের উদ্যোগে বিশেষ মানবিক সহায়তা প্রদানরাঙামাটিতে বৈষম্য ও সন্ত্রাস বিরোধী মহাসমাবেশ ছাত্র পরিষদেরপানির প্রবল চাপ সামলাতে এবার ২ ফুট খুলে দেওয়া হলো কাপ্তাই বাঁধের জলকপাট

রাঙামাটি (সদর) প্রতিনিধিঃ

প্রকাশিত: ১৬:১৪, ২ আগস্ট ২০২৪

কাউখালীতে জামাতা’র হাতে প্রাণ গেল মা-মেয়ের

​​​​​​​ঘাতক জামাতা বিল্লাল আটক

কাউখালীতে জামাতা’র হাতে প্রাণ গেল মা-মেয়ের

ঘুমন্ত বউ ও শাশুরীকে ধারালো লোহার শাবল দিয়ে খুচিঁয়ে, আঘাত করে হত্যা করেছে বিল্লাল হোসেন নামের এক ব্যক্তি।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে কাউখালী উপজেলার কাশখালী গ্রামে হত্যাকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে কাউখালী থানা পুলিশ। এ ঘটনায় আটক করা হয়েছে ঘাতক বিল্লালকে।

নিহতরা হলেন- এক সন্তানের জননী ফাতেমা আক্তার (২৬) ও তার বৃদ্ধ মা আয়েশা খাতুন (৬১)। ঘাতক বেলাল নিহত ফাতেমার স্বামী।

নিহতের প্রতিবেশি রোকেয়া বেগম ও কাউখালী থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কাশখালী এলাকার মৃত আব্দুর রশিদের মেয়ে ফাতেমা বেগম (২৬) আক্তারের সাথে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাইরা গ্রামের আনজু মিয়ার ছেলে বিল্লাল হোসেন (৩৫) এর সাথে তিন বছর পূর্বে পারিবারিকভাবে বিবাহ হয়। বিয়ের পর থেকে ঘাতক স্বামী বিল্লাল স্ত্রী ফাতেমাকে প্রায়ই শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন। তাদের সংসারে ২ বছরের একটি শিশু সন্তানও রয়েছে। স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে মাস দুই/এক আগে কাশখালীর মায়ের বাড়ীতে চলে আসে ফাতেমা। ২৯ জুলাই স্ত্রীকে ফিড়িতে নিতে কাউখালী আসে বেলাল। নিহত স্ত্রী ফাতেমা যেতে রাজি না হওয়ায় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে কাউখালী বাজারে কাজী অফিসে বিবাহ বিচ্ছেদ রেজিস্ট্রেশন এর মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয় ফাতেমা বেল্লালের। ছাড়াছড়ি হলেও ক্ষোভ নিয়েই কুমিল্লা ফিড়ে যায় বেলাল। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে বিল্লাল ফাতেমার আড়াই বছর বয়সী শিশু ছেলে পার্শ্ববর্তী বাড়িতে বাবা কই, বাবা কই ডাকাডাকি করলে ঘটনা সন্দেহ হলে দোকানে থাকা পুরুষদের খবর দেয় পার্শবর্তী ঘরের মহিলারা। স্থানীয়রা এসে ঘরে মৃত অবস্থায় ফাতেমা ও আয়েশাকে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়।

রোকেয়া বেগম জানান, খুব বেশি বৃষ্টি হওয়ায় এবং ঘরটি একটু দুরে থাকায় চিৎকারের আওয়াজ শুনতে পাইনি। তবে শিশুটির কান্না একবার শুনেছিলাম। একটু পরেই শিশুটি আমার ঘরে চলে আসে। ঘটনার সাথে বিল্লাল জড়িত থাকতে পারে বলে সন্দেহ করেন স্থানীয়রা।

এদিকে, ঘাতক বেলাল হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় কাউখালী রাণীরহাট সড়কের বেতছড়ির পাইন বাগান এলাকায় স্থানীয়দের সন্দেহ হলে তাকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করে। 

ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, নিহত ফাতেমা ও আয়েশা পাহাড়ের ঢালুতে একটি জরাজীর্ণ ঘরে ঘাতক বিল্লাল প্রবেশ করার জন্য ঘরের পিছনে সিধ কাটে (মাটি খুড়ে)। এটি দিয়ে ঘরে ঢুকেই হত্যাকান্ড ঘটায় বেলাল।

কাউখালী থানার অফিসার ইনচার্জ রাজীব চন্দ্র কর জানান, কাপ্তাই সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম পিপিএম, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পারিবারিক কলহের জেরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বিল্লাল। এ ব্যাপারে নিহতের ভাই বাদী হয়ে কাউখালী থানায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

সম্পর্কিত বিষয়:

জনপ্রিয়