বঙ্গবন্ধুর সময়ে দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সময়ে দেশে সাম্প্রদায়িক সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৭৫ সালে তাকে হত্যার পর ১৯৯৬ পর্যন্ত দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি চরমভাবে বিনষ্ট হয়। বাংলাদেশের ভাগ্যাকাশে নেমে আসে অমানিশার ঘোর অন্ধকার। পরবর্তীতে হারানো সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ফিরিয়ে আনেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে এক আলোচনা সভা ও পালাগান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, হাজার বছর ধরে এ দেশে হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ বিভিন্ন ধর্ম, বর্ণ, গোত্রের লোক সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সঙ্গে বসবাস ও সহাবস্থান করে আসছিল। অসাম্প্রদায়িকতাই ছিল হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী ও সমৃদ্ধ বাঙালি সংস্কৃতির মূল মন্ত্র। সেই সময় বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের লোকমুখে রচিত হয় ও ছড়িয়ে পড়ে ময়মনসিংহ-গীতিকার বিভিন্ন জনপ্রিয় পালাগুলো। সে পালাগুলোর কাহিনী বিশ্লেষণে তখন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির যথার্থতা প্রতীয়মান হয়।
তিনি আরো বলেন, ২০০৮ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এ দেশে সাম্প্রদায়িক সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়, যা অব্যাহত রয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের (এসডিএফ) চেয়ারম্যান মো. আবদুস সামাদ, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা, বিশিষ্ট লোক গবেষক অধ্যাপক আফজালুর রহমান ভূঁইয়া, আচার্য দীনেশ চন্দ্র সেন রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক দেবকন্যা সেন, বাউল সাধক ও সংগীত শিল্পী শফি মণ্ডল, লোক সংগীত শিল্পী কুদ্দুছ বয়াতি প্রমুখ।