শিশুর রোগ ডাউন সিনড্রম, কাদের ঝুঁকে বেশি?
বিশ্ব ডাউন সিনড্রম দিবস
![শিশুর রোগ ডাউন সিনড্রম, কাদের ঝুঁকে বেশি? শিশুর রোগ ডাউন সিনড্রম, কাদের ঝুঁকে বেশি?](https://www.alokitorangamati.net/media/imgAll/2021July/১০-2303210547.jpg)
শিশুরা এই রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। রোগের নাম ডাউন সিনড্রম। প্রতি বছর ২১ মার্চ বিশ্ব ডাউন সিনড্রম দিবস হিসাবে পালন করা হয়। ১৮৬২ সালে ব্রিটিশ চিকিৎসক John Langdon Haydon এই অসুখটিকে চিহ্নিত করেন। তবে ১৯৫৯ সালের আগে এটির কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি। সেই বছর ফরাসি বিজ্ঞানী Jérôme Lejeune এটির কারণ খুঁজে পান।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, প্রতি বছর তিন থেকে পাঁচ হাজার শিশু এই সমস্যা নিয়ে জন্মায়।
কী এই ডাউন সিনড্রম: এটি জিনঘটিত একটি অসুখ। যাদের জিনে স্বাভাবিকের তুলনায় একটি ক্রোমোজোম বেশি থাকে, তাধের ক্ষেত্রে এই সমস্যাটি হয়। জন্মের সময়েই এই অসুখটির লক্ষণগুলো টের পাওয়া যায়।
ডাউন সিনড্রমের লক্ষণগুলো কী কী: চিকিৎসকরা বলছেন, এই সমস্যায় শিশুদের বুদ্ধির বিকাশ স্বাভাবিকের তুলনায় ধীরে হয়। শিশুদের শারীরিক বিকাশও ঠিক করে হয় না।
এছাড়াও যে সমস্যাগুলো দেখা যায়:
>> উচ্চতা কম
>>মুখমণ্ডলের বিকাশও স্বাভাবিক পরিস্থিতির মতো হয় না
>>জিভের জড়তা
>>পেশির আড়ষ্টতা
>>স্মৃতিশক্তি দুর্বল
>>ভাষাশিক্ষাও অত্যন্ত ধীর গতিতে হওয়া
কী করে ডাউন সিনড্রম ধরা পড়ে: গর্ভাবস্থাতেই পরীক্ষার মাধ্যমে এই সমস্যা টের পাওয়া যেতে পারে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে তা পাওয়া যায় না। শিশুর জন্মের পরে তার চেহারা দেখে এটি বোঝা যায়।
কাদের ক্ষেত্রে ঝুঁকি বেশি: এই বিষয়ে বেশ কয়েকটি কারণ বলেন চিকিৎসকরা। যেসব নারীরা ৩৫ বছর বয়সের পরে মা হন, তাদের সন্তানের ক্ষেত্রে এই ঝুঁকি বাড়ে বলে মনে করেন অনেকে। যদিও এটি নিয়ে দ্বিমত রয়েছে।
যেসব বাবা-মায়েদের ইতিমধ্যেই এমন সন্তান রয়েছে, যার এই সমস্যা আছে, তাদের ক্ষেত্রে পরের সন্তানেরও এই ঝুঁকি থেকে যায়। যদিও মনে করা হয়, এর সঙ্গে বংশগত কোনো সম্পর্ক নেই, কিন্তু তিন থেকে চার শতাংশ ক্ষেত্রে দেখা গেছে পরিবারে এই রোগের ইতিহাস থাকলে কোনো শিশুর এই সমস্যা হতে পারে।
ডাউন সিনড্রমে আক্রান্তদের আয়ু কেমন হয় :হালে চিকিৎসব্যবস্থার উন্নতির কারণে এই সমস্যায় আক্রান্ত শিশুরা মোটামুটি সুস্থভাবেই বহু দিন বাঁচতে পারে। ৬০ বছরের উপরে বেঁচে থাকতে পারেন এই সমস্যায় আক্রান্তদের অনেকেই।
ডাউন সিনড্রমের চিকিৎসা কী: এখনো পর্যন্ত এই সমস্যা পুরোপুরি সারানোর মতো কোনো চিকিৎসাপদ্ধতি নেই। কিন্তু চিকিৎসকরা বলছেন, নানা ধরনের থেরাপির মাধ্যমে এই সমস্যা কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস