রাঙামাটি । শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ব্রেকিং

সেনাবাহিনীকে জড়িয়ে আবারও ‘হিল ভয়েসের অপপ্রচার’পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির পথ দেখিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব : কাপ্তাইয়ে প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরাপার্বত্যাঞ্চলের পরিস্থিতি অবনতি ঘটলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে : বীর বাহাদুর ঊশৈসিং এমপিসাজেকে নিহত ৯ জনের ময়নাতদন্ত শেষে হস্তান্তর, আহত ২ শ্রমিককে ঢাকায় প্রেরণকাপ্তাই হ্রদে ৩ মাসের জন্য মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা শুরুকেএনএফ প্রধান নাথান বমের স্ত্রী ‘নিখোঁজ’সাজেকে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯, পরিচয় মিলেছে ২ জনের!তীব্র তাপদাহ: জনগণকে সচেতন করতে প্রচারণায় নেমেছে রাঙামাটি স্বাস্থ্য বিভাগকাপ্তাই পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৫ ইউনিটের ৪টিই বন্ধ, উৎপাদন কমে ৩০ মেগাওয়াট

ধর্ম ডেস্কঃ-

প্রকাশিত: ১১:৫২, ২৪ মে ২০২৩

বজ্রপাত থেকে বাঁচতে রাসূলুল্লাহ (সা.) এর আমল

বজ্রপাত থেকে বাঁচতে রাসূলুল্লাহ (সা.) এর আমল
ফাইল ছবি

বজ্রকে আরবিতে বলা হয় ‘রাদ’। পবিত্র কোরআনুল কারিমে এ নামে একটি সূরা রয়েছে। এটি কোরআনের ১৩তম সূরা, যার আয়াত সংখ্যা ৪৩টি। সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ।

উক্ত সূরাটিতে মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তাআলা বজ্রপাত সম্পর্কে ইরশাদ করেন- هُوَ الَّذِي يُرِيكُمُ الْبَرْقَ خَوْفًا وَطَمَعًا وَيُنشِئُ السَّحَابَ الثِّقَالَ

অর্থ: ‘তিনিই তোমাদেরকে বিদ্যুৎ দেখান ভয়ের জন্যে এবং আশার জন্যে এবং উক্ষিত করেন ঘন মেঘমালা’। (সূরা: রাদ, আয়াত: ১২)

আল্লাহ তাআলা আরো বলেন- وَيُسَبِّحُ الرَّعْدُ بِحَمْدِهِ وَالْمَلَائِكَةُ مِنْ خِيفَتِهِ وَيُرْسِلُ الصَّوَاعِقَ فَيُصِيبُ بِهَا مَن يَشَاءُ وَهُمْ يُجَادِلُونَ فِي اللَّهِ وَهُوَ شَدِيدُ الْمِحَالِ

অর্থ: ‘তাঁর প্রশংসা পাঠ করে বজ্র এবং সব ফেরেশতা, সভয়ে। তিনি বজ্রপাত করেন, অতঃপর যাকে ইচছা, তাকে তা দ্বারা আঘাত করেন; তথাপি তারা আল্লাহ সম্পর্কে বিতন্ডা করে, অথচ তিনি মহাশক্তিশালী’। (সূরা: রাদ, আয়াত: ১৩)

বজ্রপাত থেকে বাঁচার জন্য বিশ্ব নবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিশেষ একটি দোয়া শিখিয়েছেন। দোয়াটি পাঠ করা হলে ইনশাআল্লাহ! এ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।

সাহাবি আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) যখন বজ্রের আওয়াজ শুনতেন তখন এ দোয়া পড়তেন- اللَّهُمَّ لاَ تَقْتُلْنَا بِغَضَبِكَ وَلاَ تُهْلِكْنَا بِعَذَابِكَ وَعَافِنَا قَبْلَ ذَلِكَ

উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মা লা-তাক্বতুলনা বিগাজাবিকা, ওয়া লা-তুহলিকনা বিআজা-বিকা, ওয়া আ-ফিনা-ক্বাবলা জা-লিকা’।

অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আপনি আমাকে আপনার গজব দিয়ে হত্যা করে দেবেন না এবং আপনার আজাব দিয়ে ধ্বংস করে দেবেন না। এসবের আগেই আপনি আমাকে পরিত্রাণ দিন’। (তিরমিজি, হাদিস : ৩৪৫০)

বজ্রপাতের শব্দ শুনলে নবীজি (সা.) এই দোয়াও পড়তেন- আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, রাসূল (সা.) বজ্রপাতের শব্দ শুনলেই পড়তেন- سُبْحَانَ الَّذِيْ يُسَبِّحُ الرَّعْدُ بِحَمْدِهِ

উচ্চারণ: ‘সুবহানাল্লাজি ইয়ুসাব্বিহুর রা‘অদু বিহামদিহি’।

অর্থ: ‘পবিত্র সে সত্তা, বজ্র সন্ত্রস্ত হয়ে যার প্রশংসা পাঠ করে’।

ইবনে আবি জাকারিয়া থেকে বর্ণিত অন্য রেওয়ায়েতে আছে, তিনি বলেন, বর্ণিত আছে, ‘যে ব্যক্তি বজ্রের আওয়াজ শুনে এ দোয়া পড়বে- سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ 

উচ্চারণ: ‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি’

অর্থ: ‘আমি আল্লাহর সপ্রশংস পবিত্রতা ঘোষণা করছি’। , সে বজ্রে আঘাতপ্রাপ্ত হবে না’। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা : ২৯২১৩)

জনপ্রিয়