এবারো রাবিপ্রবি’তে ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ালো ছাত্রলীগ

এবারো রাঙামাটিতে অনুষ্ঠিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের “সি” ইউনিটের (জিএসটি) গুচ্ছভুক্ত সমন্বিত ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) শ্রেনীতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে আসা ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থীদের পাশে দাড়িয়েছে রাবিপ্রবি ছাত্রলীগ। উক্ত ভর্তি পরীক্ষা রাবিপ্রবি’র ঝগড়াবিলস্থ স্থায়ী ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়।

এ উপলক্ষে সোমবার (১লা অক্টোবর) রাবিপ্রবি’র শাখা ছাত্রলীগের উদ্যোগে ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ এবং স্থানীয় সাংসদ দীপংকর তালুকদার এমপি’র নির্দেশনায় ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) শ্রেনীতে ভর্তি ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের জন্য “তথ্য প্রদান ও শিক্ষার্থী সহায়তা কেন্দ্র”র আওতায় নানা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে রাবিপ্রবি ছাত্রলীগ।

ছাত্রলীগের কর্মসূচির মধ্যে ছিলো:- তথ্যকেন্দ্র থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ, স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে সচেতনকরণ, মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ, পরীক্ষাকেন্দ্র পরিচিতির জন্য সার্বক্ষণিক স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত রাখা, শিক্ষার্থীদের চলাচলের সুবিধার্থে ‘জয় বাংলা বাইক সার্ভিস’, বাস সার্ভিস, কলম ও আনুষঙ্গিক শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, সুপেয় খাবার পানির ব্যবস্থা, পরীক্ষা কেন্দ্রে বহন অনুপযোগী জিনিসপত্র রাখার ব্যবস্থা, অভিভাবকদের বিশ্রাম গ্রহণের ব্যবস্থাসহ নানা পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করেছে সংগঠনটি।

এ সময় রাবিপ্রবি’র শাখা ছাত্রলীগের জেলা ছাত্রলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক সাইদুজ্জামান পাপ্পু, আসাদ খান ইফাত, সামিউল আলম রণ, রিয়াদ তাসিন, বিশ্বজিৎ শীলসহ রাবিপ্রবি’র শাখা ছাত্রলীগের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

রাবিপ্রবি’র শাখা ছাত্রলীগের জেলা ছাত্রলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক সাইদুজ্জামান পাপ্পু জানান, ‘প্রতিবারের ন্যায় এবারো ভর্তি ইচ্ছুক পরীক্ষার্থীদের পাশে থেকে সহযোগিতা করেছে রাবিপ্রবি ছাত্রলীগ। দেশরত্ন শেখ হাসিনার নির্দেশনায় আমরা এই কাজ করে থাকি, যাতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোন প্রকার সমস্যা কিংবা বাধাঁর সম্মুখীন হতে না হয়। 

তিনি আরো বলেন, ‘ভর্তিকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সর্বোচ্চ সজাগ থাকতে হবে। কোনো শিক্ষার্থী যেন অসদুপায় অবলম্বন না করে সেজন্য প্রশাসনকে সতর্ক থাকার আহ্বান করছি।’ দুর্নীতি এবং জালিয়াতির বিরুদ্ধে আমাদের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অব্যাহত থাকবে।’ তিনি বলেন, ছাত্রলীগের এই সেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে সাধারণ শিক্ষার্থীরা অনেক উপকৃত হয়েছে। আগামী দিনেও আমাদের এই কার্যক্রমগুলো অব্যাহত থাকবে’।