রাঙামাটি । বুধবার, ০১ মে ২০২৪ , ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা ডেস্কঃ-

প্রকাশিত: ১২:৪৪, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

কলমি শাক অনেক উপকারী

কলমি শাক অনেক উপকারী
ফাইল ছবি

কলমি (water spinach) এটি একপ্রকারের অর্ধ-জলজ উষ্ণমণ্ডলীয় লতা।এর বৈজ্ঞানিক নাম Ipomoea aquatica। এটি Convolvulaceae পরিবারের অন্তভূক্ত।

কলমি শাক পানিতে কিংবা ভেজা মাটিতে জন্মে থাকে। এর ডাঁটাগুলো ২-৩ মিটার বা আরো বেশি দীর্ঘ হয়। ডাঁটার গিঁট বা পর্ব থেকে শেকড় বের হয়। এটি ফাঁপা বলে পানির উপরে ভেসে থাকতে পারে।

কলমি শাকের পাতা অনেকটা লম্বাটে ত্রিকোণাকার বা বল্লমাকার, এবং ৫-১৫ সেমি দীর্ঘ এবং ২-৮ সেমি চওড়া হয়। কলমির ফুল অনেকটা ট্রাম্পেট আকৃতির এবং ৩-৫ সেমি চওড়া হয়ে থাকে। ফুলের রঙ সাধারণত সাদা এবং গোড়ার দিক বেগুনি। ফুলে বীজ হয়, বীজ থেকেও গাছ লাগানো যায়।

বাংলাদেশে এটি শাক হিসেবে বেশ জনপ্রিয়। কলমি শাক সাধারণত ভাজি হিসেবে রান্না করা হয়। এছাড়া ঝোলসহ মাছ দিয়েও রান্না করে খাওয়ার চল রয়েছে। এই শাক বাংলাদেশসহ ভারত, দক্ষিণ, এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতে চাষ করা হয়। কলমি শাক ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

পুষ্টিগুন

কলমি শাকে প্রচুর পুষ্টিগুন রয়েছে। কারণ প্রতি ১০০ গ্রাম কলমি শাকে পানি- ৮৯ ৭ গ্রাম, আমিষ – ৩ ৯ গ্রাম, লৌহ – ০ ৬ গ্রাম, শ্বেতসার – ৪ ৪ গ্রাম, আঁশ – ১ ৪ গ্রাম, ক্যালসিয়াম – ০ ৭১ মিলিগ্রাম, থায়ামিন – ০ ৯ মিলিগ্রাম, নায়াসিন – ১ ৩ মিলিগ্রাম, ভিটামিন সি – ৪৯ মিলিগ্রাম, ক্যালোরি – ৩০ কিলো ক্যালোরি।

উপকারিতা

১। কলমি শাকে ক্যালসিয়াম থেকে বলে এই শাক হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে। তাই ছোটবেলা থেকেই শিশুদের কলমি শাক খাওয়ানো উচিত।
২। এই শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি। যা প্রতিরোধ করে।
৩। কলমি শাক বসন্ত রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে।
৪। পর্যাপ্ত পরিমানে লৌহ থাকায় এই শাক রক্ত শূন্যতার রোগীদের জন্য দারুণ উপকারি।
৫। জন্মের পর শিশু মায়ের বুকের দুধ না পেলে মাকে কলমি শাক রান্না করে খাওয়ালে শিশু পর্যাপ্ত পরিমানে দুধ পাবে।
৬। নিয়মিত কলমি শাক খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।

জনপ্রিয়