রাঙামাটি । বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪ , ৭ কার্তিক ১৪৩১

ধর্ম ডেস্কঃ-

প্রকাশিত: ১১:১০, ১১ আগস্ট ২০২৩

জুমার নামাজের আগে গোসলের বিধান

জুমার নামাজের আগে গোসলের বিধান

অপবিত্রতা দূর করার জন্য অর্থাৎ পবিত্রতার জন্য বিশ্ব নবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম গোসল করার তাগিদ দিয়েছেন।

তবে ইসলামি শরিয়ত মতে গোসলের বিধান সব সময় এক নয়। তা কখনো ফরজ, কখনো সুন্নত আর কখনো নফল বা মুস্তাহাব।

চারটি কারণে গোসল সুন্নত হয়। কারণগুলো হলো-

(১) জুমার নামাজের আগে গোসল করা সুন্নত। (তিরমিজি, হাদিস : ৪৮৬)

(২) ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার নামাজের আগে গোসল করা সুন্নত। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১৩০৬)

(৩) ইহরামের জন্য গোসল করা সুন্নত। (তিরমিজি, হাদিস : ৭৬০)

(৪) হাজিদের আরাফায় অবস্থানের সময় গোসল করা সুন্নত।  (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১৩০৬, আলমুজামুল কাবির : ৯/৩০৭) 

গোসলের মুস্তাহাব

নিম্নোল্লিখিত কয়েকটি অবস্থায় গোসল করা মুস্তাহাব। যেমন-

> কদরের রাতে। (বুখারি, হাদিস: ৩৪)

> সূর্য ও চন্দ্রগ্রহণের নামাজ এবং বৃষ্টি প্রার্থনার নামাজের জন্য গোসল করা মুস্তাহাব। (আবু দাউদ, হাদিস: ২৯৯)

> ভীতিকর পরিস্থিতি, ব্যাপক অন্ধকার এবং প্রচণ্ড মেঘের সময়। (সূরা: আল হাক্কা, আয়াত: ৬)

> নতুন কাপড় পরিধানের সময়। (তিরমিজি, হাদিস: ২৭২৩)

> গুনাহ থেকে ক্ষমা চাওয়ার সময়। (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৪২৪০)

> সফর থেকে প্রত্যাবর্তনের সময়। (তিরমিজি, হাদিস: ২৭২৩)

> মদিনায় প্রবেশের সময়। (দারাকুতনি, হাদিস: ২৭২৬)

> মক্কা মুকাররামায় প্রবেশের ইচ্ছা করলে। (বুখারি, হাদিস: ১৪৭০)

> কোরবানির দিন সকালে মুজদালিফায় অবস্থানের সময় এবং তাওয়াফে জিয়ারতের জন্য। (আবু দাউদ, হাদিস: ২৯৯, তিরমিজি, হাদিস: ২৭২৩)

> মৃত ব্যক্তিকে গোসল দানকারীর জন্য। (আবু দাউদ, হাদিস: ২৭৪৯)

> শিঙ্গা লাগানোর পর। (আবু দাউদ, হাদিস: ২৯৪)

> মাতাল বা বেহুঁশ ব্যক্তির স্বাভাবিক জ্ঞান ফেরার পর। (মুসান্নাফে আব্দির রাজ্জাক : ১/১৩২, বুখারি, হাদিস: ৬৪৬)

> ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার সময়, যদি সে পাক থাকে তবু গোসল করা মুস্তাহাব। কিন্তু সে যদি নাপাক থাকে তবে তো গোসল করা ফরজ। (সহিহ ইবনে হিব্বান : ৪/৪২, সূরা: মায়িদা, আয়াত: ৬)

জনপ্রিয়