ভবনের মালিক টিটন খীসাকে আইনের আওতায় আনার দাবী রাঙামাটিবাসীর!
বিদ্যুৎহীন রাঙামাটির হাজার হাজার মানুষ

রাঙামাটিতে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা টিটন খীসা কর্তৃক সরকারী জায়গা দখল করে বহুতল ভবণ নির্মাণ করতে গিয়ে ১১ হাজার কেভির ইলেক্ট্রনিক পিলার ভেঙ্গে পড়ে রাঙামাটি শহরের অধিকাংশ এলাকা অন্ধকারে নিমজ্জিত হওয়ায় ভবনের মালিক টিটন খীসাকে আইনের আনার দাবী জানিয়েছেন রাঙামাটিবাসী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার (০৫ অক্টোবর) রাঙামাটির রাঙ্গাপানি-ভেদভেদি সড়কের ইসকন মন্দিরে ২০০ গজ সামনে টিটন খীসা নামে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা কর্তৃক সরকারী জায়গা দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করে। ভবণের পাইলিংয়ের কাজ শেষে পিলার উঠানোর জন্য মাটি গর্ত শুরু করলে পাশেই থাকা ১১ হাজার কেভির লাইন ভেঙ্গে পড়ে ৩৩ হাজার কেভির লাইনের উপরে। এরপর শহরের অধিকাংশ এলাকা বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়ে।
খবর পেয় বিদ্যুৎ অফিস ঘটনাস্থলে এসে বাড়ীর কেয়ারটেকারকে বিদ্যুৎ অফিস (ভেদভেদি) নিয়ে যাওয়া হয়। জানা যায়, উক্ত বাড়ীর কেয়ারটেকার প্রিতিময় চাকমা সন্তু লারমার আঞ্চলিক পরিষদের অফিস সহকারী হিসাবে কর্মরত আছেন।
অপরদিকে, বাড়ীর মালিক টিটন খিসা বর্তমানে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বরত আছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এই অবৈধ বিল্ডিংয়ের জন্য ভুক্তভোগী হলো রাঙামাটির হাজার হাজার মানুষ। আজকে এই ভবনের মালিক কোন বাঙালী হলে এমন দায়িত্ব জ্ঞানহীন কাজের জন্য তাকে আইনের আওতায় আনা হতো। অথচ প্রশাসনের নাকের ডগায় সরকারী জায়গা দখল করে অবৈধভাবে এই বহুতল ভবন নির্মান করতে গিয়েই কিন্তু এই ঘটনা ঘটেছে। ভবনের মালিক প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ কিচ্ছু বলার সাহস পাচ্ছে না এমনকি প্রশাসনসহ মিডিয়ার কর্মীরাও নীরব ভূমিকা পালন করছে। আমরা ভবনের মালিক টিটন খীসাকে আইনের আওতায় আনার দাবী জানাই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, এই বিল্ডিংয়ের পিলার উঠানোর জন্য মাটি গর্ত করার সময় ভবনের মালিক বা ভবনের কেয়ারটেকার কেউই বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করেন নি। এটা কোন ধরণের দায়িত্ব জ্ঞানহীন কাজ। যে কারনে আজ হাজার হাজার মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এই ভবনের মালিককে আইনের আওতায় আনার জোর দাবী জানান তিনি। যাতে ভবিষ্যতে কেউ যেন এ ধরণের কাজ করতে সাহস না পায়।
এদিকে, রাত দেড়টার দিকে শহরে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়। রাত সাড়ে আটটা থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণ এবং কখন বিদ্যুৎ সংযোগ স্বাভাবিক হবে জানতে পিডিবি’র একাধিক কর্মকর্তাকে ফোন করলেও কেউ ফোন রিসিভ করেননি।
জানা যায়, রাঙামাটি সড়কের ওই খাম্বার কাজ পুরোপুরি শেষ হয়নি। আপাতত বিদ্যুতের লাইন চালু করা হয়েছে। সম্পুর্ণ কাজ সম্পন্ন করতে আজ চট্টগ্রাম থেকে ক্রেন আনা হয়েছে। এজন্য বৃহস্পতিবার সকাল ৭/৮টা থেকে শহরে বিদ্যুৎ নেই। পুরোপুরি কাজ সম্পন্ন করতে ৩/৪ ঘন্টা সময় লাগতে পারে বলে জানা যায়।