রাঙামাটি । রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪ , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

ব্রেকিং

সেনাবাহিনীকে জড়িয়ে আবারও ‘হিল ভয়েসের অপপ্রচার’পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির পথ দেখিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব : কাপ্তাইয়ে প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরাপার্বত্যাঞ্চলের পরিস্থিতি অবনতি ঘটলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে : বীর বাহাদুর ঊশৈসিং এমপিসাজেকে নিহত ৯ জনের ময়নাতদন্ত শেষে হস্তান্তর, আহত ২ শ্রমিককে ঢাকায় প্রেরণকাপ্তাই হ্রদে ৩ মাসের জন্য মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা শুরুকেএনএফ প্রধান নাথান বমের স্ত্রী ‘নিখোঁজ’সাজেকে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯, পরিচয় মিলেছে ২ জনের!তীব্র তাপদাহ: জনগণকে সচেতন করতে প্রচারণায় নেমেছে রাঙামাটি স্বাস্থ্য বিভাগকাপ্তাই পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৫ ইউনিটের ৪টিই বন্ধ, উৎপাদন কমে ৩০ মেগাওয়াট

নিউজ ডেস্কঃ-

প্রকাশিত: ১০:৩৫, ৩১ অক্টোবর ২০২০

পুলিশ সদস্যরা জনতার পুলিশে পরিণত হবে: প্রধানমন্ত্রী

পুলিশ সদস্যরা জনতার পুলিশে পরিণত হবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা


মুজিববর্ষে পুলিশ সদস্যরা জনতার পুলিশে পরিণত হবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কমিউনিটি পুলিশিং দিবস উপলক্ষে শুক্রবার দেয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি আশা করি, মুজিববর্ষে নতুন স্পৃহা ও আদর্শে উদ্দীপ্ত হয়ে পুলিশ সদস্যরা জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিয়ে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জনতার পুলিশে পরিণত হবে।

তিনি বলেন, দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিধান, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও মানবাধিকার রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত অন্যতম প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পুলিশ। দেশ ও জাতির সেবায় প্রতিনিয়ত তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব একনিষ্ঠভাবে ও সাহসিকতার সঙ্গে পালন করছে পুলিশ।

জনগণ ও পুলিশের পারস্পরিক আস্থা, সমঝোতা ও শ্রদ্ধা কমিউনিটি পুলিশিং এর মূলকথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আধুনিক কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থাপনায় জনগণের সঙ্গে প্রাণবন্ত সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে অপরাধ দমন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও সামাজিক সমস্যার উৎস উদ্ঘাটন করে তা সমাধান ও অপরাধ ভীতি হ্রাস করে মানুষের মধ্যে নিরাপত্তাবোধ সৃষ্টির লক্ষ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম চালানো হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশব্যাপী কমিউনিটি পুলিশিং এর কার্যক্রম শুরু হওয়ার পাঁচ বছরের মধ্যে ৬০ হাজার ৯১৮টি কমিটির মাধ্যমে ১১ লাখ ১৭ হাজার ৮০ জন কমিউনিটি পুলিশিং সদস্য পুলিশের সঙ্গে একযোগে অংশীদারেত্বের ভিত্তিতে কাজ করে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা সমাধানে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, এরই মধ্যে বাংলাদেশে রেলওয়ে, ইন্ডাস্ট্রিয়াল এবং হাইওয়ে পুলিশেও কমিউনিটি পুলিশিং কমিটি গঠনের মধ্য দিয়ে অপরাধ দমনে আরো একধাপ এগিয়ে গিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। আগামীতেও নারী নির্যাতন, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমনের পাশাপাশি সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে কমিউনিটি পুলিশিং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বায়নের এ যুগে সহজলভ্য প্রযুক্তি অপরাধকে আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক পরিসরে দ্রুত বিস্তৃত করছে। এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক, আঞ্চলিক এবং স্থানীয় প্রযুক্তি নির্ভর অপরাধ প্রতিরোধ ও অপরাধ উদ্ঘাটনে পুলিশকে উন্নত প্রযুক্তিজ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি জনগণ ও রাষ্ট্রের অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক স্থাপন করে সবার সহায়তায় একযোগে কাজ করার কোনো বিকল্প নেই।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশকে সাইবার ক্রাইম, জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমন, মানিলন্ডারিং ইত্যাদি সমসাময়িক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম একটি আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার এন্টি টেরোরিজম ইউনিট, সাইবার ইউনিট গঠনসহ সব ধরনের সময়োপযোগী কার্যক্রম হাতে নিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর রয়েছে এক গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস। সেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে একটি সম্প্রীতিময়, শোষণমুক্ত, জঙ্গি, মাদক ও সাম্প্রদায়িকতামুক্ত মানবিক দেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে আগামী দিনগুলোতে পুলিশ সদস্যরা আরো আন্তরিকভাবে কাজ করে যাবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিবছরের মতো এবারো ৩১ অক্টোবর ‘কমিউনিটি পুলিশিং দিবস-২০২০’ উদযাপিত হচ্ছে জেনে আনন্দিত। এ উপলক্ষে পুলিশের সব সদস্যকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। ‘কমিউনিটি পুলিশিং দিবস-২০২০’ এর সব আয়োজনের সার্বিক সাফল্য কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী।

আলোকিত রাঙামাটি

জনপ্রিয়