রাঙামাটি । মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪ , ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

নিউজ ডেস্কঃ-

প্রকাশিত: ১৭:৪৭, ২৬ অক্টোবর ২০২৩

কৃষকরা খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছেন: খাদ্যমন্ত্রী

কৃষকরা খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছেন: খাদ্যমন্ত্রী
ফাইল ছবি

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে কৃষকের ভূমিকা অনেক বেশি। কৃষকরা কৃষির উৎপাদন বাড়িয়ে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছেন। কৃষি প্রণোদনা দিয়ে সরকারও কৃষকের পাশে আছে।

বৃহস্পতিবার নওগাঁর পোরশা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে রবি মৌসুমের কৃষি প্রণোদনা বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, কৃষক যেন সহজে সরকারের কাছে ধান বিক্রি করতে পারে তার জন্য স্টিল সাইলো নির্মাণ করা হচ্ছে। কৃষক ভেজা ধান নিয়ে গেলেও তাদের কাছ থেকে ধান কেনা হবে। ভেজা ধান ড্রায়ারে শুকিয়ে সংরক্ষণ করা হবে। মজুত ক্ষমতা বাড়াতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশে আরো দুইশ’ পেডি সাইলো নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছেন। এরই মধ্যে ৩০টি সাইলো একনেকে অনুমোদিত হয়েছে।

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, কৃষক সমাজ বিষয়টি অনুধাবন করে উৎপাদন বাড়াতে মনোযোগী হয়েছে। আমাদের ফসল উৎপাদন বহুগুণ বেড়েছে বলেই খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা সক্ষম হয়েছি। দেশে পর্যাপ্ত সারের মজুত আছে। সেচের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সরকার সার আমদানিতে ৪৮ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে। তিনি জনগণকে দেশের উন্নয়নে সরকারের পাশে থাকার আহ্বান জানান।

এ সময় পোরশা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সালমা আক্তার এর সভাপতিত্বে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান গাজীবুল ইসলাম, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মেহেদী হাসান, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা  জহিরুল ইসলাম এবং নিতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনামুল হক বক্তব্য রাখেন। 

উল্লেখ্য, এ বছর রবি প্রণোদনার আওতায় পোরশা উপজেলায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে গম, ভুট্টা, সরিষা, সূর্যমুখী, চিনাবাদাম, শীতকালীন পেঁয়াজ, মুগ, মসুর ও খেসারী ফসলের আবাদ বৃদ্ধির জন্য বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন হচ্ছে। পাঁচ হাজার ৭২০ জন কৃষকের মাঝে তিন হাজার ২১০ কেজি বীজ, ৬০ হাজার কেজি ডিএপি সার ও ৫০ হাজার ৫০ কেজি এমওপি সার বিতরণ করা হয়। বীজ ও সারের আনুমানিক মূল্য ৫৪ লাখ ৭৪ হাজার ৩০০ টাকা। পরে খাদ্যমন্ত্রী সমতলে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর আর্থ সামাজিক জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৬৬৬ পরিবারের মাঝে ১৩ হাজার ৩২০টি মুরগি বিতরণ করেন।

জনপ্রিয়