রাঙামাটি । সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪ , ১৫ বৈশাখ ১৪৩১

সুমন্ত চাকমা (জুরাছড়ি) প্রতিনিধিঃ-

প্রকাশিত: ১১:৩৭, ৪ জুলাই ২০২২

আপডেট: ১১:৩৮, ৪ জুলাই ২০২২

জুরাছড়িতে জনবহুল রাস্তার বেহাল দশা, দেখার কেউ নেই

জুরাছড়িতে জনবহুল রাস্তার বেহাল দশা, দেখার কেউ নেই

রাঙামাটি জেলার জুরাছড়ি উপজেলার আনন্দ পাড়া বহেরাছড়ি ও কুসুমছড়ির সংযোগ রাস্তার বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। একবার বৃষ্টি হলেই কর্তমাক্ত হয়ে পড়ায় চলার অনুপযোগী হয়ে পরে।  

সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলা প্রকৌশলী বিভাগ ২০১১ সালে  রাস্তা উন্নয়নে আনন্দ পাড়া বহেরাছড়ি ও কুসুমছড়ির সংযোগ রাস্তার পিস দালাই করা হয়। র্দীঘ ১১ বছর প্রায় রাস্তার কোন সংস্কার না করায় কুসুমছড়ি মুখে, আনন্দ পাড়া ও বহেরাছড়িতে ব্যাপক ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। এই রাস্তা দিয়ে জুরাছড়ি ও বনযোগীছড়া ইউনিয়নের ৫ হাজারের অধিক মানুষ যাতায়াত করতে হয়। এছাড়া এই রাস্তা দিয়ে  প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী আসা যাওয়া করে।।

সম্প্রতি অতি বৃষ্টিপাতে বহেরাছড়ি রাস্তার ৫০ ফুট প্রায় খন্ড খন্ড ভেঙ্গে যায়। এতে গাড়ী চলাচল সপ্তাহ খানিক বন্ধ হয়ে পরে। পরে স্থানীয়রা সেচ্ছায় কোন রকমে রাস্তাটি মেরামত করে কোন রকমে চলাচলের উপযোগী করে। 

বহেরাছড়ি স্থানীয় বাসিন্দার সুমন চাকমা, হেলন ও বরুন কুমার চাকমা বলেন, ‘রাস্তাটি খন্ড খন্ড হয়ে ভেঙ্গে পরায় চলাচল করতে খুবই কষ্ট হয়।’

কুসুমছড়ি বাসী বকুল চাকমা, মেকী চাকমা, মিন্টু চাকমা বলেন, ‘যেখানে উপজেলায় গাড়িতে করে যেতে ১০/১৫ মিনিট সময় লাগে সেখানে এখন ঘন্টার বেশী সময় লেগে যাচ্ছে। দ্রুত সংস্কারের আবেদন জানান তারা।’

জুরাছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান ইমন চাকমা ও বনযোগীছড়া ইউপি চেয়ারম্যান সন্তোষ বিকাশ চাকমা জানান, ‘বিষয়টি অবগত রয়েছে। ইতিমধ্যে উপজেলা প্রকৌশলীকে অবগত করা হয়েছে।’

উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ মতিউর রহমান জানান, ‘রাস্তাটি পূর্ণ নির্মানের জন্য ইতিমধ্যে চাহিদা পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া গেলে কাজ করা যাবে।’

উপজেলা চেয়ারম্যান সুরেশ কুমার চাকমা বলেন, ‘বরাদ্দ সংকটের কারণে কাজ করা সম্ভব হয়ে উঠছেনা। আগামী অর্থ বছরে বরাদ্দ পাওয়া গেলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে রাস্তাটি সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।’

জনপ্রিয়