রাঙামাটি । রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪ , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

নিউজ ডেস্কঃ-

প্রকাশিত: ১১:৩৮, ২০ মার্চ ২০২০

কাপ্তাই হ্রদ শুকিয়ে যাওয়ায় চরম বিপাকে বাঘাইছড়িবাসী

কাপ্তাই হ্রদ শুকিয়ে যাওয়ায় চরম বিপাকে বাঘাইছড়িবাসী

||নিজস্ব প্রতিবেদক|| রাঙামাটির দূর্গম জনপদের নাম বাঘাইছড়ি। এই উপজেলার কাচালং নদীর পানি (কাপ্তাই হ্রদ) শুকিয়ে যাওয়ায় উপজেলার বাসিন্দারা জেলা সদরের সাথে যোগাযোগে চরম বিপাকে পড়েছে।

কাপ্তাই হ্রদে পানি থাকলে রাঙামাটি-মারিশ্যা রুটে বিরতীহীন লঞ্চ চলাচল করে। শুষ্ক মৌসুম শুরু হওয়ার সাথে সাথে এ রুটে প্রতিবছর লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

তাই শুষ্ক মৌসুমের শুরুতে প্রতিবছর রাঙামাটি-মারিশ্যা সড়ক পথে বাস সার্ভিস চালু করে থাকে চট্টগ্রাম-রাঙামাটি মোটর মালিক সমিতি। কিন্তু এ বছর যথা সময়ে বাস সার্ভিস চালু না হওয়ায় বাঘাইছড়ির বাসিন্দারা জেলা সদরের সাথে যোগাযোগে হিমসিম খেতে হচ্ছে।

ব্যক্তি উদ্যোগে কেউ কেউ যোগাযোগের জন্য জেলা সদর হতে বাঘাইছড়ি এবং বাঘাইছড়ি হতে জেলা সদরে স্পিট বোটে যোগাযোগ করে। কিন্তু ভাড়া বাড়তি এবং কম সংখ্যক বোট থাকায় সবার পক্ষে এভাবে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়ে উঠে না।

এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হ্রদে পানি কম থাকার কারণে রাঙামাটির ফিসারী ঘাট থেকে যেসব স্পিট বোট মারিশ্যা রুটে চলাচল করে সেগুলো বাঘাইছড়ি উপজেলার দূরছড়ি বাজার পর্যন্ত ঘাট পর্যন্ত চলাচল করতে পারে। যে কারণে প্রতিবছর এ মৌসুমে বাঘাইছড়ির বাসিন্দাদের দুর্ভোগ পৌহাতে হয়।

দেশের বৃহত্তর এবং প্রাচীন এ উপজেলার বাসিন্দারা বর্তমানে দাবি তুলেছে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে যেন রাঙামাটি-মারিশ্যা রুটে বাস সার্ভিস চালু করে। তাহলে এ অঞ্চলের বাসিন্দাদের যোগাযোগ ব্যবস্থায় উন্নতি ঘটবে এবং দুর্ভোগ লাঘব ঘটবে।

খাগড়াছড়ি জেলা বাস মালিক সমিতির সদস্য দিলীপ কুমার দাশ বলেন, আমি বিষয়টি সমিতির উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি। তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে রাঙামাটি-মারিশ্যা রুটে সেবা প্রদানে করবেন বলে জানিয়েছেন।

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আহসান হাবীব জিতু বলেন, বিষয়টি যেহেতু জনস্বার্থের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তাই প্রতিবারের ন্যায় রাঙামাটি-মারিশ্যা রুটে বাস সার্ভিস চালু করার জন্য জেলা প্রশাসক-কে অবহিত করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক দ্রুত সময়ের মধ্যে এ সমস্যার সমাধান করে দিবেন বলে জানিয়েছেন।

আলোকিত রাঙামাটি

জনপ্রিয়