রাঙামাটি । শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪ , ১৯ বৈশাখ ১৪৩১

নিউজ ডেস্কঃ-

প্রকাশিত: ১২:৪২, ৮ জুলাই ২০২৩

পৃথিবী সূর্যের সবচেয়ে দূরত্বে ছিল শুক্রবার, তাপে কেমন ছিল তারতম্য

পৃথিবী সূর্যের সবচেয়ে দূরত্বে ছিল শুক্রবার, তাপে কেমন ছিল তারতম্য
ছবি: সংগৃহীত

পৃথিবীর অক্ষের কারণে একটি গোলার্ধ অর্ধেক বছর সূর্যের কাছাকাছি থাকে, আর অন্য গোলার্ধ বাকি সময়ে। এই কারণেই ঋতু পরিবর্তন হয়। আবার সূর্যের চারপাশে একটি উপবৃত্তাকার কক্ষপথে আবর্তিত হয় পৃথিবী। এ অনুসারে, সূর্য ও পৃথিবীর মধ্যে দূরত্ব বছরে প্রায় তিন শতাংশ হারে পরিবর্তিত হয়। আর শুক্রবার (৭ জুলাই) তাদের দূরত্ব ছিল সবচেয়ে বেশি।

তাত্ত্বিকভাবে, শুক্রবার এমন হওয়ার কথা যে সূর্য আকাশে সবচেয়ে ছোট দেখাবে ও এদিন আমাদের গ্রহ সবচেয়ে কম পরিমাণে তাপ পাবে। কিন্তু বাস্তবে দুটি মহাজাতিক বস্তুর মধ্যে দূরত্বের তিন শতাংশ পার্থক্য লক্ষণীয় কোনো ব্যবধান তৈরি করে না।

চলতি বছরের জুলাইয়ের পরপর দু’দিন ইতিহাসের সর্বোচ্চ গড় তাপমাত্রা দেখেছে পৃথিবী। এল নিনো ও অন্যান্য প্রভাবে সামনে আরো বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন বিজ্ঞানীরা। এই সময়ে যদি পৃথিবী ও সূর্যের দূরত্ব বাড়ে, তাতে কোনো প্রভাব পড়ে না। অর্থাৎ আমাদের আশেপাশের এলাকা উল্লেখযোগ্যভাবে শীতল হওয়ারও কোনো কারণে নেই।

ঠান্ডা ও গরম, তাপমাত্রার এই পরিবর্তন ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সম্পর্কিত। তা সূর্যের সঙ্গে দূরত্ব দিয়ে নির্ধারিত হয় না। বরং পৃথিবীর অক্ষ ও সূর্যের চারপাশে কীভাবে ঘোরে তার সঙ্গে এর সম্পর্ক।

পৃথিবীর অক্ষের কারণে একটি গোলার্ধ অর্ধেক বছর সূর্যের কাছাকাছি থাকে, আর অন্য গোলার্ধ বাকি সময়ে। এই কারণেই ঋতু পরিবর্তন হয়। খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের উৎসব ক্রিসমাস দিয়ে উদাহরণ দেওয়া যাক। ইউরোপ-আমেরিকায় বড়দিন উদযাপিত হয় কনকনে শীতে, আর অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড দিনটি পড়ে গ্রীষ্মের মাঝামাঝিতে। তথ্যসূত্র: স্পেস, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

জনপ্রিয়