রাঙামাটি । রোববার, ০৫ মে ২০২৪ , ২১ বৈশাখ ১৪৩১

রাঙামাটি (সদর) প্রতিনিধিঃ-

প্রকাশিত: ১৭:৪১, ১৮ অক্টোবর ২০২৩

শেখ রাসেলের জন্মদিনে কাপ্তাই হ্রদে ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ

শেখ রাসেলের জন্মদিনে কাপ্তাই হ্রদে ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের শুভ জন্মদিন উপলক্ষে প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও শেখ রাসেল স্মৃতি নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (১৮ অক্টোবর) দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে রাঙামাটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংলগ্ন কাপ্তাই হ্রদে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের পৃষ্টপোষকতায় ও রাঙামাটি পার্বত্য জেলা ক্রীড়া সংস্থার ব্যবস্থাপনায় শেখ রাসেল স্মৃতি নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।

প্রতিযোগিতায় কাপ্তাই হ্রদের মধ্যটিলা হতে রাঙামাটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার পর্যন্ত শেখ রাসেল নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় মোট ৪টি ইভেন্ট আয়োজন করা হয়। ইভেন্টগুলোর মধ্যে নৌকা বাইচ প্রযোগিতায় সর্বমোট বিভিন্ন ইভেন্টে পুরুষ ও মহিলা প্রতিযোগী দলের সংখ্যা ২৫টি।

রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খানের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাঙামাটি সংসদ সদস্য ও খাদ্য মন্ত্রণালয় সর্ম্পকিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি।

গেষ্ট অফ অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান সুপ্রদীপ চাকমা।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী, রাঙামাটি পৌর মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মারুফ আহমেদ, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ শহীদুজ্জামান মহসীন রোমান, শেখ রাসেল স্মৃতি নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার আহবায়ক ও রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য হাজী মোঃ মুছা মাতব্বর ও শেখ রাসেল স্মৃতি নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার সদস্য সচিব ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শফিউল আজম প্রমুখ।


অন্যদিকে, নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা শুরু হওয়ার আগেই রাঙামাটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ঘাট প্রাঙ্গণসহ কাপ্তাই হ্রদ এলাকায় পাড়ে হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে। কেউ নৌকা, কেউবা ইঞ্জিন বোটে, কেউবা লঞ্চে করে, আবার কেউ ঘাটে দাঁড়িয়ে ঘন্টাব্যাপী উপভোগ করে মনরোম এতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা। এ সময় মানুষের আনন্দ উল্লাসের আমেজ ছড়িয়ে পরে পুরো রাঙামাটি শহরে। দূর-দূরান্তের প্রতিযোগিতা দেখতে আসে পাহাড়ী-বাঙালী, তরুণ-তরুণীরা মেতে উঠে আনন্দ উল্লাসে।

তার মধ্যে বিভিন্ন দুর্গম এলাকা হতে অংশগ্রহণকারী পুরুষ সাম্পান প্রতিযোগিতায় ৬টি দল, মহিলা কায়াক প্রতিযোগিতায় ৯টি দল, পুরুষ বড় নৌকা প্রতিযোগিতায় ৯টি দল এবং মহিলা বড় নৌকা প্রতিযোগিতায় ৫টি দল অংশগ্রহণ করে।

নৌকা প্রতিযোগিতায় পুরুষ সাম্পানে ১ম স্থান অধিকার করেছেন জামাল। মহিলা কায়াক প্রতিযোগিতায় ১ম স্থান অধিকার করেছেন শর্মিলা ত্রিপুরা। মহিলা বড় নৌকা প্রতিযোগিতায় ১ম স্থান অধিকার করেছে সুমিতা ত্রিপরা ও তার দল। পুরুষ বড় নৌকা প্রতিযোগিতায় ১ম স্থান অধিকার করেছে চিরমনি ত্রিপুরা ও তার দল।

প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থান অধিকারকারী প্রত্যেক দলকে যথাক্রমে ৫০ হাজার, ৩০ হাজার এবং ২৫ হাজার টাকার প্রাইজমানি প্রদান করা হয়।

সম্পর্কিত বিষয়:

জনপ্রিয়