রাঙামাটি । মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪ , ২৩ বৈশাখ ১৪৩১

নিউজ ডেস্কঃ-

প্রকাশিত: ১৬:১৪, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০

ইলিশ উৎপাদন বাড়াতে ২৪৬ কোটি টাকার প্রকল্প আসছে

ইলিশ উৎপাদন বাড়াতে ২৪৬ কোটি টাকার প্রকল্প আসছে

ছবি: সংগৃহীত


ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে বড় একটি প্রকল্প প্রস্তাব করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। ‘ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা’ নামের প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় প্রস্তাব করা হয়েছে ২৪৬ কোটি ২৮ লাখ টাকা। এরইমধ্যে এর প্রক্রিয়াকরণ শেষ করেছে পরিকল্পনা কমিশন। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) যেকোনো সময় এটি উপস্থাপন করা হবে। বর্তমান সময় থেকে ২০২৪ সালের জুন মাস পর্যন্ত ধীরে ধীরে এটি বাস্তবায়ন হবে।

জানা গেছে, আগামী মঙ্গলবার একনেক সভায় এটিসহ মোট ছয় প্রকল্প উপস্থাপন করা হবে। গণভবন থেকে সভায় সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। গণভবনে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ও পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান উপস্থিত থাকবেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশে মোট মৎস্য উৎপাদনে ইলিশের অবদান সর্বোচ্চ এবং জিডিপিতে অবদান এক শতাংশ। সারাবিশ্বের মোট উৎপাদিত ইলিশের প্রায় ৬০ শতাংশ আহরিত হয় এ দেশের নদ-নদী থেকে। আশির দশকের আগে মোট মৎস্য উৎপাদনের ২০ শতাংশ ছিল ইলিশের অবদান। প্রাকৃতিক ও মনুষ্যসৃষ্ট কারণে ইলিশের উৎপাদন আশির দশকের তুলনায় কিছুটা কমেছে। এর অন্যতম কারণ হলো অভ্যন্তরীণ জলাশয়ের পরিবেশগত পরিবর্তনের ফলে বিশেষ করে নদ নদীতে অপরিকল্পিত বাঁধ ও কালভার্ট ব্রিজ নির্মাণের কারণে। পাশাপাশি উজান থেকে পরিবাহিত পলি জমার জন্য পানি প্রবাহ ও নদ-নদীর নাব্যতা হ্রাস পাওয়ায় জলজ পরিবেশ দূষিত হয়ে পড়ছে। ফলে ইলিশ মাছের পরিভ্রমণ পথ, প্রজনন ক্ষেত্র, বিচরণ ও চারণক্ষেত্র দিন দিন পরিবর্তিত ও বিনষ্ট হচ্ছে।

এছাড়া অবৈধ কারেন্ট জাল, মশারি জাল, পাইজালসহ অন্যান্য সরঞ্জাম দিয়ে জাটকা ও মা ইলিশ আহরণও ইলিশের উৎপাদন হ্রাসের অন্যতম কারণ। এসব ক্ষতিকর অবৈধ জাল ও সরঞ্জাম নির্মূল করা না গেলে ইলিশের কাঙ্ক্ষিত উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হবে। তাই জাটকা ও মা ইলিশ সংরক্ষণের মাধ্যমে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি করাকে প্রস্তাবিত প্রকল্পের অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

প্রকল্পটির আওতায় চলমান জাটকা সংরক্ষণ আন্দোলন আরো বেগবান করা হবে বলে মনে করছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।

আলোকিত রাঙামাটি

জনপ্রিয়