রাঙামাটি । মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪ , ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

প্রকাশিত: ১০:৫৫, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১

ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের অর্ধেক মানুষ টিকার আওতায় আসছে

ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের অর্ধেক মানুষ টিকার আওতায় আসছে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদকে জানিয়েছেন, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের মোট জনসংখ্যার ৫০ শতাংশকে টিকার আওতায় আনার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুসরণ করে ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার।

গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী তার জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তরে পিরোজপুর-৩ আসনের জাতীয় পার্টি (জাপা) দলীয় সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজীর এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংসদের বৈঠকে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।

প্রধানমন্ত্রী জানান, বর্তমানে ১৮ বছরের ওপরে সব বাংলাদেশি নাগরিককে করোনার টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। সেজন্য বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা থেকে টিকা সংগ্রহের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। ১২ বছর ও এর বেশি বয়সি শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনা, প্রতিবন্ধীদের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সুবর্ণ কার্ডের মাধ্যমে নিবন্ধন করে টিকা দেওয়া এবং শ্রমিকদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেওয়া নিয়ে সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে।

শেখ হাসিনা জানান, দেশে গত ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯৬ লাখ ৫৪ হাজার ১১৯ ডোজ করোনা ভাইরাসের টিকার মজুত ছিল। ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ২ কোটি ৯ লাখ ২২ হাজার ৭১৫ জনকে প্রথম ডোজ এবং তাদের মধ্যে ১ কোটি ৩৮ লাখ ৫৫ হাজার ৪৬ জনকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে দেওয়া হয়েছে মোট ৩ কোটি ৪৭ লাখ ৭৭ হাজার ৭৬১ ডোজ টিকা।

প্রধানমন্ত্রী জানান, টিকা সংগ্রহের জন্য সম্ভাব্য সব পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। সরকারের গৃহীত এসব কার্যক্রমের ফলে এ পর্যন্ত (১২ সেপ্টেম্বর) ২৪ কোটি ৬৫ লাখ ১৩ হাজার ৬৬০ ডোজ টিকা সংগ্রহের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দ্বিপাক্ষিক ক্রয় চুক্তি এবং উপহার হিসেবে মোট ৪ কোটি ৪৪ লাখ ৩১ হাজার ৮৮০ ডোজ টিকা পাওয়া গেছে। করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে টিকা সংগ্রহ ও বিনা মূল্যে টিকাদান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। রাশিয়া থেকে ১ কোটি ডোজ স্পুিনক-ভি টিকা কেনার চুক্তি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। তাছাড়া কোভ্যাক্সের মাধ্যমে ৩ কোটি ডোজ সিনোফার্ম ও সাড়ে ৭ কোটি ডোজ সিনোভ্যাক টিকা আনার বিষয়টিও প্রায় চূড়ান্ত।

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে টিকা দেওয়ার লক্ষ্য পূরণের আশা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী জানান, দেশে ৬৭৩টি টিকা কেন্দ্রের মাধ্যমে টিকা দেওয়া হচ্ছে এবং তা ইউনিয়ন পর্যন্ত বিস্তৃত করা হয়েছে। সবার সহযোগিতায় চলমান এই বৈশ্বিক মহামারিকে সফলভাবে মোকাবিলা করতে সক্ষম হব। পরিস্থিতি আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে। এজন্য টিকা গ্রহণের পাশাপাশি সবাইকে নির্ধারিত স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলার আহ্বান জানান সরকারপ্রধান।

আলোকিত রাঙামাটি

জনপ্রিয়