রাঙামাটি । শনিবার, ০৪ মে ২০২৪ , ২০ বৈশাখ ১৪৩১

নিউজ ডেস্কঃ-

প্রকাশিত: ১৭:১৩, ২৬ এপ্রিল ২০২০

করোনা সংক্রমণ রোধে কাজ করছে গ্রীন হিল

করোনা সংক্রমণ রোধে কাজ করছে গ্রীন হিল

রাঙামাটি প্রতিনিধিঃ- বিশ্বব্যাপী মহামারী ব্যাধি নভেল করোনাভাইরাসের (কভিড-১৯) সংক্রমণ রোধে কার্যত পুরো দেশ লকডাউনে। ইতোমধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙামাটি ও খাগড়াছড়িসহ দেশের চার জেলা ব্যাতিত ৬০ জেলাতেই ছড়িয়ে পড়েছে এই অদৃশ্য ভাইরাসের সংক্রমণ। সারাদেশে কভিড-১৯ এর সংক্রমণ রোধে কাজ করছে প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টরা। অদৃশ্য ভাইরাসের সংক্রমণ রোগে এগিয়ে এসেছে দেশের বিভিন্ন এনজিও সংস্থাও। এরই ধারাবাহিকতা রাখছে পার্বত্য চট্টগ্রামের পুরনো বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও) গ্রীন হিল। 

পার্বত্য রাঙামাটি জেলায় কভিড-১৯ সংক্রমণ রোগে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বাধীন কভিড-১৯ প্রতিরোধ কমিটিকে সহযোগিতা করেছে সংস্থাটি। গত বুধবার গ্রীন হিলের পক্ষ থেকে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশিদকে করোনা সংক্রান্ত তহবিলে ৫০ হাজার টাকার চেক হস্তান্তর করা হয়। হস্তান্তরকালে গ্রীন হিলের উপ-নির্বাহী পরিচালক যতন কুমার দেওয়ান, ফাইন্যান্স ও অ্যাডমিন ডাইরেক্টর উপাল কান্তি মুৎসুদ্দি ও সংস্থার প্রধান কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক অর্ণব দেওয়ান উপস্থিত ছিলেন। এসময় জেলা প্রশাসক দেশের এই ক্লান্তিকালীন সময়ে প্রশাসনের পাশে দাঁড়ানোয় গ্রীন হিল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

গ্রীন হিলের উপ-নির্বাহী পরিচালক যতন কুমার দেওয়ান জানিয়েছেন, দেশের এই ক্লান্তিকালীন সময়ে সরকারের কভিড-১৯ প্রতিরোধ তহবিলে এই আর্থিক অনুদান সামান্য হলেও তা জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে পরিচালিত কার্যক্রমে কিছুটা হলেও সহায়ক ভূমিকা রাখবে। যতন কুমার দেওয়ান বলেন, গ্রীন হিল দেশের যে কোনো দুর্যোগকালীন সময়ে নিজেদের সাধ্যমত সরকারের পাশে থেকে বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেছে। ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে।

এদিকে গ্রীন হিলের করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ কার্যক্রমের দায়িত্বরত সমন্বয়কারী অর্ণব দেওয়ান জানিয়েছেন, গ্রীন হিল তিন পার্বত্য জেলার বিশ উপজেলায় প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি চর্চা এবং জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। সংস্থার কর্ম এলাকায় গ্রীন হিল বাস্তবায়িত ১৮ টি সূর্যের হাসি ক্লিনিক, মহালছড়ি এবং আলীকদম উপজেলার ‘এক্রেলারেটিং স্যানিটেশন এন্ড ওয়াটার ফর অল’ প্রকল্প কর্মীদের তত্ত্বাবধানে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে হাত ধোয়ার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। যেখানে সাবান বা হ্যান্ড ওয়াশিং, বালতি, ড্রাম, মগ ও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে টিস্যুর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত তিন জেলায় মোট ত্রিশটি স্থানে হাত ধোয়ার উপকরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। 

সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বান্দরবানের লামা, নাইক্ষ্যংছড়ি ও আলীকদম উপজেলায় ইউএসএইড এর আর্থিক সহায়তায় পরিচালিত আশ্রয় কেন্দ্র প্রকল্পের মাধ্যমে করোনাবিষয়ক তথ্য সম্বলিত লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। প্রতি উপজেলায় তথ্য অফিসের সহায়তায় একটানা ১২ দিনের জন্য মাইকিং এবং সংশ্লিষ্ট ইউএনও’র কাছে জীবাণুনাশক বিভিন্ন উপকরণ, স্প্রে মেশিন ও হাইজিন কিট বিতরণ করা হচ্ছে। এ প্রকল্পের আওতায় মোট ৭৫টি স্থানে হাত ধোয়ার বিশেষ স্থাপনার কাজ নির্মাণের জন্য প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

আলোকিত রাঙামাটি

জনপ্রিয়