‘কুত্তা যদি ঘেউ ঘেউই না করল, তাহলে কীসের কুত্তা’

গ্যাংস্টার শ্যামলকে এই বাক্যটি বলার পর দলবল নিয়ে বন্দুক হাতে পাড়ায় ঘুরে বেড়াতে দেখা গেল। আরো দেখা গেল রাতের অন্ধকারে এক মহিলার সঙ্গে সময় কাটাতে। কখনো আবার অপরাধ জগতের কাজকর্ম সামলাতেও দেখা গেল। মূলত হুগলির অপরাধ জগতের অন্যতম ডন তিনি। পর্দায় এই শ্যামল চরিত্রে অভিনয় করেছন ঢালিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা মোশাররফ করিম। সিনেমাটির নাম ‘হুব্বা’।
‘গ্যাংস্টার’ শ্যামলের জীবনকে কেন্দ্র করে নির্মিত হয়েছে ‘হুব্বা’। কলকাতার এই সিনেমাটির পরিচালক ব্রাত্য বসু। এর মাধ্যমে দ্বিতীয়বারের মতো কলকাতার বড় পর্দায় হাজির হতে যাচ্ছেন বাংলাদেশি অভিনেতা মোশাররফ করিম। কলকাতায় তার প্রথম ছবি ছিল‘ডিকশনারি’। এই ছবির পরিচালকও ছিলেন ব্রাত্য বসু।
শুক্রবার প্রকাশিত হয়েছে হুব্বার টিজার। যাতে আন্দাজ করা গেল সিনেমার প্রতি পরতে পরতে যে উত্তেজনা, রোমাঞ্চে ভরপুর। টিজারে ইন্দ্রনীল সেনগুপ্তসহ একলকাতার বেশ কয়েকজন নাট্যব্যক্তিত্বকেও দেখা গেছে।
পরিচালক ব্রাত্য বসু বলেন, থ্রিলার এবং কমেডির মিশেলে তৈরি করা হয়েছে সিনেমাটি। হুব্বা শ্যামল ‘হুগলির দাউদ ইব্রাহিম’ নামেই পরিচিত ছিলেন। খুন, জখম, ড্রাগ পাচারের মতো বহু অপরাধে অপরাধী। অজস্র পুলিশি মামলা ছিল তার নামে। একসময় তিনি ভোটে দাঁড়াতেও চান। যতবারই তাকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ, প্রতিবারই জামিন পেয়ে গিয়েছিলেন। ২০১১ সালে বৈদ্যবাটির খালে হুব্বা শ্যামলের মৃতদেহ ভেসে ওঠে। এই ছবির মাধ্যমে আমি পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং অপরাধ জগতের চিত্রই ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি।
‘হুব্বা’ ছবিটি প্রযোজনার দায়িত্বে রয়েছে ফিরদৌসল হাসানের প্রযোজনা সংস্থা ‘ফ্রেন্ডস্ কমিউনিকেশন’। ব্রাত্য এবং ফিরদৌসল জুটিকে আগেও দর্শক দেখেছে। প্রযোজক-পরিচালক জুটির এটি দ্বিতীয় ছবি।