রাঙামাটি । মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪ , ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

নিউজ ডেস্কঃ-

প্রকাশিত: ১৭:১২, ৫ অক্টোবর ২০২৩

রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী নবী হোসেনের সহযোগী বাবুল গ্রেফতার

রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী নবী হোসেনের সহযোগী বাবুল গ্রেফতার

রোহিঙ্গা শীর্ষ সন্ত্রাসী নবী হোসেনের সহযোগী ও অস্ত্র ব্যবসায়ী জাফরুল ইসলাম ওরফে বাবুলকে বিপুল পরিমাণ মাদক ও অস্ত্রসহ গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। বৃহস্পতিবার ভোরে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার কাটাখালী এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে র‌্যাব-১৫।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর কাওরান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন বাহিনীর আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

তিনি জানান, গ্রেফতারের সময় বাবুলের কাছ থেকে ৫৫ হাজার ইয়াবা, একটি বিদেশি পিস্তল, একটি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্রসহ গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়।

র‍্যাব জানায়, বাবুল পালংখালী ইউনিয়নের ৯ ওয়ার্ডের মেম্বার। তার হাত ধরে প্রতি মাসে ৪০ থেকে ৫০ লাখ ইয়াবার চালান দেশে প্রবেশ করে। বাবুল রোহিঙ্গা শীর্ষ সন্ত্রাসী নবী হোসেনের সঙ্গে চুক্তি করে চিংড়ি ব্যবসার আড়ালে মাদক, অস্ত্র ও স্বর্ণ চোরাচালান করে আসছিলেন।

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেফতার বাবুল মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাতে এলাকায় রোহিঙ্গাসহ স্থানীয় ২০ থেকে ২৫ জনের একটি চক্র গড়ে তোলেন। মাদক ব্যবসার পাশাপাশি তিনি এলাকায় চাঁদাবাজি, স্বর্ণ চোরাচালান, অবৈধ অস্ত্র, অবৈধ বালু উত্তোলন, চোরাই পথে গবাদি পশু চোরাচালান, অবৈধভাবে পাহাড় কেটে মাটির ব্যবসাসহ অন্যান্য সন্ত্রাসী কাজে লিপ্ত ছিলেন।

তিনি বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে বাবুল জানিয়েছেন, ২০০৫ সাল থেকে তিনি পাশের দেশ থেকে মাদক এনে দেশের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে দিতো। ২০১৭ সালে মাদক ব্যবসায়ী লুৎফুর রহমানের মাধ্যমে তালিকাভুক্ত রোহিঙ্গা শীর্ষ সন্ত্রাসী পলাতক নবী হোসেনের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। নবীর সঙ্গে পরিচয়ের পর বাবুল মাদক সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। নবী হোসেনের সঙ্গে চুক্তি করে তিনি চিংড়ি ব্যবসার আড়ালে পাশের দেশ থেকে নাফ নদী দিয়ে মাদক, অস্ত্র ও স্বর্ণ চোরাচালান করে আসছেন।

র‍্যাব জানায়, বাবুলের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালে টেকনাফ থানায় একটি মাদকের মামলা হয়। ২০১৭ সালে জাবু হত্যা মামলায় প্রায় ২ মাস কারাভোগ করে তিনি জামিনে বেরিয়ে আসেন। চোরাচালানসহ অন্যান্য অপরাধ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে কক্সবাজারে বিলাসবহুল ফ্ল্যাট,  ট্রাক, জমি এবং মাছের ঘেরসহ প্রায় ৫০ কোটি টাকার সম্পদ গড়ে তোলেন। তার বিরুদ্ধে কক্সবাজারের উখিয়া থানায় হত্যা, মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধে ৯টির বেশি মামলা রয়েছে।

জনপ্রিয়