রাঙামাটি । মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪ , ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

রাঙামাটি (সদর) প্রতিনিধিঃ

প্রকাশিত: ২১:১০, ২৪ অক্টোবর ২০২৩

আপডেট: ১৮:১৫, ২৫ অক্টোবর ২০২৩

কাপ্তাই হ্রদে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হল দুর্গোৎসব

কাপ্তাই হ্রদে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হল দুর্গোৎসব

ঢাকের বাদ্য, শঙ্খ আর উলুধ্বনিতে ২০ অক্টোবর বোধন ও মহষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হয় শারদীয় দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা। পরের তিন দিন আনন্দের বর্ণিল ছটা ছড়িয়ে যায় সর্বত্র।

মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) সেখানে বাজলো বিষাদের করুণ সুর। বছর ঘুরে আবার আসার প্রতিশ্রুতি দিয়ে লাখো ভক্তকে ভারাকান্ত করে ঘোড়ায় চড়ে বিদায় নিলেন দুর্গতিনাশিনী দেবী দুর্গা। এরই মধ্যদিয়ে শেষ হলো সনাতন সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা।

এর আগে মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) সকালে প্রতিটি মন্ডপে মন্ডপে বিজয়া দশমীর অঞ্জলী প্রদানের মধ্যদিয়ে মা দুর্গার কাছে বিশ্ববাসী দেশের মঙ্গলার্থে প্রার্থনা করেন ভক্তবৃন্দরা। বিকালে রাঙ্গামাটির বিভিন্ন মন্দিরে সনাতনী নারীরা সংসারের মঙ্গল কামনায় মায়ের পায়ে সিঁদুর দেন। পরে নারীরা সিঁদুর খেলায় মেতে উঠে। সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষে সকলে পুষ্পাঞ্জলির মধ্যদিয়ে মাকে বিদায় জানিয়েছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।

আর বিজয়া দশমী শেষে কাপ্তাই হ্রদে বিসর্জন দেয়া হয়েছে দেবী দূর্গাকে। সন্ধ্যায় কাপ্তাই হ্রদের তীরে ‘দুর্গা মা কি, জয়। মহামায়া কি, জয়।’ একের পর এক এমন জয়ধ্বনি, ঢাক-ঢোল, কাঁসর ও ঘণ্টা বাজিয়ে প্রতিমা বিসর্জনের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হয়। ওই সময় ভক্তদের চোখের জল গড়ায় কাপ্তাই হ্রদে।

ভক্তকুলকে কাঁদিয়ে মর্ত্য থেকে প্রস্থান করলেন জগতের দুর্গতিনাশিনী দেবীদুর্গা। নানা আচার অনুষ্ঠানে পূজা অর্চনার মধ্যদিয়ে সার্বজনীন অংশে রাঙ্গামাটিতে শেষ হল সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব।

এবার শহরসহ রাঙামাটি জেলায় মোট ৪৩টি মন্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হয়। পঞ্জিকা ও ভক্তকূলের বিশ্বাস মতে, এবার দেবী মর্ত্যলোকে এসেছেন ঘোড়ায়, ফিরে গেছেন ঘোড়ায় চড়ে। 

প্রথা অনুযায়ী, প্রতিমা বিসর্জনের পর সেখান থেকে শান্তির জল মঙ্গলঘটে নিয়ে তা হৃদয়ে ধারণ করা হয়। আগামী বছর আবার এ শান্তির জল হৃদয় থেকে ঘটে, ঘট থেকে প্রতিমার সম্মুখে রেখে পূজা করা হবে।

জনপ্রিয়