রাঙামাটি । মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪ , ২৩ বৈশাখ ১৪৩১

নিউজ ডেস্কঃ-

প্রকাশিত: ১২:৪৮, ২৬ আগস্ট ২০২০

রাঙামাটির গভীরে বেড়িয়ে এলো নতুন আরেকটি ঝর্ণা

রাঙামাটির গভীরে বেড়িয়ে এলো নতুন আরেকটি ঝর্ণা

প্রায় সময়ে ঝর্ণায় গা ভেজাতে ছুঁটে আসছে তারুণ্যের দল


সম্প্রতি দেবতাছড়ি ঝর্ণায় ঘুরে এলো আটজনের একটি ভ্রমণদল। ভ্রমণদলের সদস্য নিহার কবির জানিয়েছেন, রাঙামাটি জেলা শহরের অদূরে থাকা এই ঝর্ণাতে এখনো মানুষের নজর তেমনটা পড়েনি। এটি আবিষ্কারের পর থেকেই স্থানীয় ভ্রমণপ্রেমীদের সমাগম বাড়ছে, দিনদিন জনপ্রিয় উঠছে। আমরা বন্ধুরা মিলে কয়েকদিন আগে শুরু এসেছি। তবে অনেকটা দুর্গম পথ। তাই ঝর্ণাটি লোকচক্ষুর আড়ালে পড়ে আছে। বর্ষা কিংবা বর্ষা পরবর্তী সময়ে এমন ঝর্ণাগুলো প্রাণ ফিরে পায়। তবে প্রচারণার অভাবে জেলার অনেক অধিবাসীই এসব ঝর্ণার কথা জানেনই না।

স্থানীয় কয়েকজন পাহাড়ি বাসিন্দারা জানায়, বিগত কয়েক বছর ধরে এই সময়টাতে পাড়ার ঝর্ণাতে দূরদুরান্ত থেকে মানুষ ছুঁটে আসছে। মানুষের সমাগম দেখে বলার অপেক্ষা রাখে না যে, এটি দিনদিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। তারা বলেন, এই এলাকাতে ঝর্ণা দেখাকে কেন্দ্র করে পর্যটকদের নিয়মিত সমাগম ঘটলে এতে করে স্থানীয়রাও ছোট পরিসরে ব্যবসা-বাণিজ্য গড়ে তুলে আর্থিকভাবে আরো সমৃদ্ধ হতে পারবেন।   

দেবতাছড়ি ঝর্ণা থেকে ঘুরে আসা ভ্রমণপ্রেমী কাউসার আকন্ড জানান, এতদিন অনেকেই জেলা শহরের অদূরে পড়ে থাকা এই ঝর্ণার খবর জানত না। এখন লোকমুখে শুনে শুনে অনেকেই এই ঝর্ণাটিতে আসছে। শরীর-মনকে ভিজিয়ে নিচ্ছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে বেড়ানোর অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি অন্যান্য জেলার থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামে পর্যটন শিল্পের বিকাশের লক্ষ্যে অনেক কিছুই করা সম্ভব। এখানে পর্যটন ও বিনোদনকেন্দ্র গড়ে উঠলে স্থানীয়রাও পর্যটকদের সেবার পাশাপাশি আর্থিকভাবে সচ্ছ্বল হবে ব্যবসা-বাণিজ্যের হাত ধরেই।

 

পাহাড়ের বেশ গভীরেই এই ঝর্ণা

 

আপনিও কিন্তু ঘুরে আসতে পারেন এই ঝর্ণা থেকে। ছুটির দিনে পরিবার আর প্রিয়জনকে সঙ্গে নিয়ে শরীর মন ভিজিয়ে নিতে পারেন ঝর্ণার শীতল পানিতে।

জেনে নিন রাঙামাটির এই দেবতাছড়ি ঝর্ণায় কীভাবে যাবেন-  

রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের দুর্গম দেবতাপাড়াতেই এই ঝর্ণাটির অবস্থান। জেলা শহর অদূরে এই ঝর্ণাটিতে যেতে হলে টানা ৪০-৪৫ মিনিটের মতো সড়ক পথে অটোরিকশা কিংবা বাসে যেতে হবে। ঘাগড়া-কাপ্তাই বড়ইছড়ি সড়কের ঘাগড়া বাজার থেকে কাপ্তাইয়ের পথে তিন কিলোমিটার পাড়ি দিলেই দেবতাছড়ি পাড়া। পাড়ায় প্রবেশের পথেই রয়েছে একটি ছোট্ট চায়ের দোকান। যেটি বুইজ্জার দোকান নামেই পরিচিত। এই দোকানের পাশ দিয়ে বয়ে চলা ঝিরি পথে প্রায় আড়াই কিলোমিটার পথ পাড়ি দিলেই দেখা মিলবে এই গিরি নির্ঝরের। জেলা শহর থেকে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাড়া নিলে ভাড়া পড়বে হাজার খানেক।

প্রয়োজনীয় তথ্য

ভ্রমণ যাওয়ার পূর্বে প্রয়োজনীয় উপকরণ যেমন প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা, পর্যাপ্ত শুকনো খাবার ও খাবার পানি সঙ্গে রাখা প্রয়োজন। কেননা মাঝখানে পাহাড়ি ঝিরি-ঝর্ণায় হাঁটাচলা করতে যেকোনো ধরণের কাটাছেঁড়া হতে পারে। এক্ষেত্রে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা রাখা অনেকটা প্রয়োজন। এছাড়া খালি পায়েও ঝিরি পথে হাঁটা যাবে না। আবার দীর্ঘ পাহাড়ি পথে হাঁটার পর ক্ষিদে ও পানির তৃষ্ণা লাগবে তাই শুকনো খাবার ও পানি সঙ্গে রাখা অতীব জরুরি।

আলোকিত রাঙামাটি

জনপ্রিয়