রাঙামাটি । শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ব্রেকিং

সেনাবাহিনীকে জড়িয়ে আবারও ‘হিল ভয়েসের অপপ্রচার’পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির পথ দেখিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব : কাপ্তাইয়ে প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরাপার্বত্যাঞ্চলের পরিস্থিতি অবনতি ঘটলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে : বীর বাহাদুর ঊশৈসিং এমপিসাজেকে নিহত ৯ জনের ময়নাতদন্ত শেষে হস্তান্তর, আহত ২ শ্রমিককে ঢাকায় প্রেরণকাপ্তাই হ্রদে ৩ মাসের জন্য মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা শুরুকেএনএফ প্রধান নাথান বমের স্ত্রী ‘নিখোঁজ’সাজেকে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯, পরিচয় মিলেছে ২ জনের!তীব্র তাপদাহ: জনগণকে সচেতন করতে প্রচারণায় নেমেছে রাঙামাটি স্বাস্থ্য বিভাগকাপ্তাই পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৫ ইউনিটের ৪টিই বন্ধ, উৎপাদন কমে ৩০ মেগাওয়াট

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ-

প্রকাশিত: ১৫:৪৩, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০

শূন্যে শুরু, ড্রাগন চাষ করে দুই বছরেই লাখপতি তোয়ো ম্রো

শূন্যে শুরু, ড্রাগন চাষ করে দুই বছরেই লাখপতি তোয়ো ম্রো

ড্রাগন চাষ করে লাখপতি তোয়ো ম্রো


নিজস্ব প্রতিবেদকঃ- পাঁচ বছর আগেও খুব গরিব ছিলেন ‌তোয়ো ম্রো। তবে তার দেড় একর জমি ছিল। আর সে জমিতেই চাষ শুরু করেন ‘ড্রাগন’ ফল। এতে অল্প দিনেই সফল চাষি বনে গেছেন তিনি। এ সাফল্য চলতি বছরেও তাকে দিয়েছে প্রেরণা। করোনার কারণে শুরুতে কিছুটা দাম কমে গেলেও দ্বিতীয় দফার উৎপাদনেই আবার ফিরে পেয়েছেন দাম।

তোয়ো ম্রোর বাড়ি বান্দরবান শহরের চিম্বুক এলাকার বসন্ত পাড়ায়। বান্দরবান শহর থেকে পাহাড়ি প‌থে প্রায় ১৪ কি‌লো‌মিটার দূ‌রে চিম্বুক এলাকাটি।

ক্ষুদ্র জাতি গোষ্ঠী ম্রো সম্প্রদায়ের সদস্য তোয়ো ম্রো বলেন, ২০১৫ সা‌লে ড্রাগন চাষ শুরু করা হয়। তখন দারিদ্র্য ঘোচাতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের হার্টি কালচার বিভাগের পরামর্শে অনেকটা ঝুঁকি নি‌য়ে ক‌ঠোর প‌রিশ্রম শুরু করি। এ কাজে স্ত্রী ও সন্তান‌রা সহায়তা করেন।

তিনি বলেন, প্রথমে ভ‌য়ে ভ‌য়ে পরীক্ষামূলকভা‌বে ড্রাগন চাষ কর‌লেও ২০১৯ সা‌লে এ ভয় দূর হ‌য়ে যায়। দে‌শের বি‌ভিন্ন অঞ্চ‌লে এ ফলের ব্যাপক চা‌হিদা থাকায় পুরো জমিতে খুব ভালো করে চাষ করা হয়। ফলনও হয়েছে আশানুরূপ। গত বছর নিজ বাগান থে‌কে প্রায় ২৫ লাখ টাকার ড্রাগন ফল বি‌ক্রি করা হয়েছে। এ বছরও অনেক ভালো বিক্রি হবে।


ক্ষেত থেকে ড্রাগন ফল তুলছেন তোয়ো ম্রোর পরিবার সদস্য


তোয়ো ম্রো বলেন, ক‌রোনার কার‌ণে এ বছর সময়মতো বাগানের ড্রাগন ফল বাজারজাত কর‌তে পারিনি। আর তখন লকডাউন ও যান চলাচল না থাকায় বাজার ছিল মন্দা। এ কারণে প্রথম ধা‌পে কম দা‌মে বি‌ক্রি কর‌তে হ‌য়ে‌ছে ড্রাগন। গত বছর ২৫০ থে‌কে ৩০০ টাকা কেজি দরে ফল বিক্রি করেছিলাম। তবে এ বছর লকডাউনের সময় প্রথম ধা‌পে বি‌ক্রি করেছি ২০০ থে‌কে ২৫০ টাকা কেজি দরে। এখন লকডাউন না থাকায় আবার আগের অবস্থা ফিরে এসেছে। ফলের দাম বেড়েছে। দ্বিতীয় ধা‌পে আগের বছরের চেয়েও বেশি দামে ৩০০ থে‌কে ৩৫০ টাকা কেজি দরে ড্রাগন বিক্রি করছি।

এ বিষ‌য়ে বান্দরবান কৃ‌ষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ প‌রিচালক ড. এ‌কেএম নাজমুল হক ব‌লেন, ড্রাগন এক‌টি বি‌দে‌শি ফল। বান্দরবা‌নে এর ফল‌নের আবাদ বাড়া‌নোর চেষ্টা কর‌ছি। গত বছ‌রে পুরো বান্দরবান জেলায় ২৯ হাজার হেক্টর জমিতে ড্রাগ‌নের আবাদ হ‌য়ে‌ছে। এসব জমি থে‌কে আমরা ৫৮০ মে‌ট্রিক টন ড্রাগন ফল উৎপাদন করতে পে‌রে‌ছি। এ বছর এর উৎপাদন ৬০০ মে‌ট্রিক টন ছা‌ড়ি‌য়ে যা‌বে। বান্দরবা‌নের আবহাওয়া ও মা‌টি ড্রাগন চা‌ষের জন্য উপ‌যো‌গী। আর পর্যটন এলাকা হওয়া‌য় খুব সহ‌জেই ড্রাগ‌ন ফলের চা‌হিদা বে‌ড়ে‌ছে।

তোয়ো ম্রোকে কৃতিত্ব দিয়ে ড. নাজমুল বলেন, সদ‌রের ১৪ কি‌লো‌মিটার দূ‌রে বসন্ত পাড়ায় তোয়ো ম্রো নামের এ কৃষক প্রশিক্ষণ নি‌য়ে সর্বপ্রথম ড্রাগন চাষ শুরু ক‌রেন। তার প‌রিশ্রম সার্থক হ‌য়ে‌ছে। এখন তি‌নি সফল ড্রাগন চাষি। তোয়ের সাফল্য দে‌খে এখন অনেকেই ড্রাগন চাষে আগ্রহী হ‌চ্ছেন।

আলোকিত রাঙামাটি

জনপ্রিয়