রাঙামাটি । শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪ , ১৯ বৈশাখ ১৪৩১

নিউজ ডেস্কঃ-

প্রকাশিত: ১৬:১২, ৭ জুন ২০২০

কর্ণফুলী পেপার মিলে পুনরায় উৎপাদন শুরু

কর্ণফুলী পেপার মিলে পুনরায় উৎপাদন শুরু

কাপ্তাই (রাঙামাটি) প্রতিনিধিঃ- চন্দ্রঘোনাস্থ কর্ণফুলী পেপার মিলস (কেপিএম) লিমিটেড ১৩ দিন উৎপাদন বন্ধ থাকার পর গত শনিবার থেকে উৎপাদন শুরু হয়েছে। 

কাঁচামাল সংকট ও সরকারি অর্ডার না থাকায় গত ২৪ মে থেকে কর্তৃপক্ষ মিলের উৎপাদন বন্ধ করে দেয়। অবশেষে দীর্ঘ ১৩ দিন বন্ধ থাকার পর পুনরায় কাগজ উৎপাদন শুরু করেছে মিলটি। 

কেপিএমের জিএম (উৎপাদন) গোলাম সরোয়ার জানান, গত শনিবার (৬ জুন) ২৬ মেট্রিকটন কাগজ উৎপাদন করেছে মিলটি। পূর্বের কিছু কাঁচামাল থাকায় মিলটি উৎপাদনে যেতে পেরেছে। তিনি আরো জানান, আগামী ১০ জুনের মধ্যে ৭শ' মেট্রিকটন কাঁচামাল মিল কর্তৃপক্ষ সংগ্রহ করবে এবং মিলটি পুরোদমে উৎপাদনে যাবে।তবে এখনো পর্যন্ত কাগজ সরবরাহকারী সরকারি প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল কারিকুলাম ফর টেক্সট বোর্ড (এনসিটিবি) কেপিএম হতে কাগজ কিনবে কিনা সে বিষয়ে কোন লিখিত কাগজ পাঠায়নি। কেপিএম হতে এনসিটিবি ১ হাজার মেট্রিকটন কাগজ কেনার কথা ছিল। ওই প্রতিষ্ঠানটি কাগজ কিনলে কেপিএমে বিক্রয় সংকট থাকবে না বলে তিনি জানান।

বিসিআইসি'র আওতাধীন কেপিএমের বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা ৩০ হাজার মেট্রিকটন। বর্তমানে বার্ষিক ৫ থেকে ৬ হাজার মেট্রিকটন কাগজ উৎপাদনের ফলে কাগজকলটি লোকসানী প্রতিষ্ঠানে পরিনত হয়েছে বলে শ্রমিকরা জানান।

মিলে দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত কয়েকজন শ্রমিক কর্মকর্তা জানান, যদি দৈনিক ৪৫ থেকে ৫০ মেট্রিকটন কাগজ উৎপাদন করা হয় তাহলে এই মিলকে আর লোকসান গুনতে হবে না। তারা আরো জানান, বর্তমানে যে যন্ত্রপাতি আছে তা দিয়ে দৈনিক ৭০ থেকে ৮০ মেট্রিকটন কাগজ উৎপাদন করা সম্ভব।

এই বিষয়ে কেপিএম শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন (সিবিএ) এর সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বাচ্চু উক্ত বিষয় গুলোর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কাঁচামাল সংকট ও বিক্রয় সংকটের ফলে গত রমযানের ঈদের পর থেকে কেপিএমের উৎপাদন বন্ধ ছিল।

আলোকিত রাঙামাটি

জনপ্রিয়