রাঙামাটি । শনিবার, ১৮ মে ২০২৪ , ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা ডেস্কঃ-

প্রকাশিত: ১৫:৫৯, ৫ মে ২০২৪

শসা শরীরের আর্দ্রতা ধরে রাখে

শসা শরীরের আর্দ্রতা ধরে রাখে
ফাইল ছবি

শসা (Cucumber) এটি একটি লতানো উদ্ভিদ। এর বৈজ্ঞানিক নাম Citrullus colocynthis। এটি Cucurbitaceae এর পরিবারভুক্ত। শসা লম্বাটে আকৃতির এবং প্রায় ১০-১২ ইঞ্চি লম্বা হয়ে থাকে। এর বাইরের রং সবুজ, তবে পাকলে হলুদ হয়। ভেতরে সাদাটে সবুজ রঙের হয়, এবং মধ্যভাগে বিচি থাকে।

শসা কাঁচা খাওয়া হয় বা সালাদ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। এটি সাধারণত গরমের সময় বেশি পাওয়া যায়। বেশ কয়েক জাতের শসা রয়েছে। উর্বর দো-আঁশ মাটি ও অম্লক্ষারত্ব ৫.৫-৬.৮ শসা উৎপাদনের জন্য উপযোগী। ২৫-৩০ সেলসিয়াস গড় তাপমাত্রায় শসা সবচেয়ে ভালো জন্মে। ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত শসার বীজ বপন করা ভালো।

বাংলাদেশে শসা প্রধানত সালাদ হিসেবে খাওয়া হয়। শসাতে পানি আছে শতকরা ৯৫ভাগ। ফলে এটি শরীরের আর্দ্রতা ধরে রাখতে পারে এবং ভেতরের তাপমাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করে দেহ শীতল রাখতে সহায়তা করে। শসার আদি নিবাস ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল, এশিয়া এবং তুরস্ক। বাংলাদেশের সব অঞ্চলে শসার চাষ করা হয়ে থাকে। শসা ঔষধ হিসেবেও ব্যবহার করা হয়।

রাসায়নিক উপাদান:

শসাতে রয়েছে সিকোইসোলারিসিরেসিনোল, ল্যারিসিরেসিনোল ও পিনোরেসিনোল যা আমাদের শরীরের অনেক ঘাটতি পূরণ করে।

শসার ঔষধিগুণ:

১. শসায় পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও ফাইবার থাকার কারণে শসা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
২. শসা নিয়মিত খেলে কিডনি, ইউরিনারি, ব্লাডার, লিভার ও প্যানক্রিয়াস ভালো থাকে।
৩. নিয়মিত শসার সালাদ খেলে অতিরিক্ত চর্বি কমে ও ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৪. শসার রস খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৫. শসার রস আলসার, গ্যাস্ট্রাইটিস, অ্যাসিডিটির ক্ষেত্রেও উপকারী।
৬. শসা নিয়মিত খেলে নখ ভালো থাকে, দাঁত ও মাড়ির সমস্যা সমাধান হয়।
৭. গাজরের রসের সঙ্গে শসার রস মিশিয়ে খেলে ব্যথার উপকার হবে।
৮. নিয়মিত শসা খেলে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে।
৯. শসা পেস্ট করে মুখে লাগলে মুখের উজ্জ্বলতা বাড়ে এবং চোখের নিচের কালো দাগ দূর হয়।
১০. শসাতে পানি আছে শতকরা ৯৫ভাগ। এটি শরীরের আর্দ্রতা ধরে রাখে এবং শরীরের ভেতরের তাপমাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করে।
১১. খোসাসহ শসা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য হয় না।