রাঙামাটি । মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪ , ২৩ বৈশাখ ১৪৩১

নিউজ ডেস্কঃ-

প্রকাশিত: ১৭:০০, ১১ জুলাই ২০২০

বিদেশ থেকে একটা পশুও আমদানি নয় : প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

বিদেশ থেকে একটা পশুও আমদানি নয় : প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

শ ম রেজাউল করিম। ফাইল ছবি


এবার বিদেশ থেকে একটা পশুও আমদানি করা হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। তিনি বলেন, কোরবানির জন্য যে পরিমাণ গবাদিপশুর সরবরাহ দরকার, তা দেশেই রয়েছে।

শনিবার কোরবানির গবাদিপশু বিপণনের অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ‘ডিএনসিসি ডিজিটাল হাট’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। 

তিনি বলেন, দেশের খামারিরা চমৎকার গবাদিপশু উৎপাদন করছেন। যা বাজারে দরকার তার চেয়ে বেশি উৎপাদন রয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে জীবন ও জীবিকা চালিয়ে রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দিক-নির্দেশনায় আমরা সবাই মিলে কাজ করে যাচ্ছি।

এ সময় কোরবানির অনুপযুক্ত পশু বিক্রি বন্ধে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম কাজ করবে বলেও জানান শ ম রেজাউল করিম। তিনি বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের লক্ষ্য থাকবে যাতে কোনোভাবেই রোগগ্রস্ত বা কোরবানির অনুপযুক্ত গবাদিপশু বিক্রি না হয়। আমরা ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম করে দিচ্ছি। তারা সেটা লক্ষ্য রাখবে।

তিনি বলেন, গবাদিপশুর বাজারগুলোতে মেডিকেল টিম কাজ করবে, যাতে রুগ্ণ পশু বাজারে আসতে না পারে। এ লক্ষ্যে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে মনিটরিং টিমও কাজ করবে।

প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী, এ বছর ১ কোটি ১৮ লাখ ৯৭ হাজার ৫০০টি গবাদিপশু কোরবানির জন্য মজুত রয়েছে। এগুলোর মধ্যে হৃষ্টপুষ্ট গরু-মহিষের সংখ্যা ৪৫ লাখ ৩৮ হাজার। আর ছাগল-ভেড়ার সংখ্যা ৭৩ লাখ ৫৫ হাজার ও অন্যান্য ৪ হাজার ৫০০টি।

অনুষ্ঠানে ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম সভাপতিত্ব করেন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। অন্যান্যের মধ্যে বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান, এফবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট শেখ ফজলে ফাহিম প্রমুখ।

এতে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট শমী কায়সার। এছাড়া সিপিডির সিনিয়র গবেষক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম যুক্ত ছিলেন। 

আলোকিত রাঙামাটি

জনপ্রিয়