রাঙামাটি । বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪ , ১৮ বৈশাখ ১৪৩১

নিউজ ডেস্কঃ-

প্রকাশিত: ১০:৪৭, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

প্রাথমিক-মাধ্যমিকেও আসতে পারে অনলাইন ক্লাসের নির্দেশনা

প্রাথমিক-মাধ্যমিকেও আসতে পারে অনলাইন ক্লাসের নির্দেশনা

তীব্র দাবদাহের কারণে ইতোমধ্যেই সাত দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে দেশের সব প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়। আগামী ২৭ এপ্রিল ছুটি শেষ হবে। তবে চলতি মাসেই গরম কমে আসবে, এমন কোনো পূর্বাভাসও পাওয়া যাচ্ছে না। তাই সিলেবাস শেষ করতে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছুটি না বাড়িয়ে অনলাইন ক্লাস চালুর চিন্তা করছে মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাউশির কর্মকর্তারা বলছেন, এরইমধ্যে তারা এ বিষয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেছেন। সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে এ ব্যাপারে ইতিবাচক অভিমতও পাওয়া গেছে। এমন প্রেক্ষাপটে আগামী ২৬ এপ্রিল শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী জেনেভা থেকে দেশে ফিরলে এ সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হতে পারে।

মাউশি এবং এনসিটিবি সূত্র জানাচ্ছে, চলতি বছর সাপ্তাহিক ছুটিসহ অন্যান্য ছুটি বাদে ১৮৫ দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকার কথা। তবে এর মধ্যে পরীক্ষার জন্য ২০ দিন, পাঁচটি জাতীয় দিবস, অন্যান্য জরুরি প্রয়োজনে ২০ দিন পাঠদান বন্ধ থাকার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে ১৪০ দিনে সিলেবাস শেষ করার রূপরেখা তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে শীতের কারণেও বেশ কয়েকদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। বর্তমানে গরমের কারণে অনির্ধারিতভাবে পাঁচ দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে হচ্ছে। এই ছুটি দীর্ঘায়িত হলে সিলেবাস শেষ করা অনিশ্চিত হয়ে পড়তে পারে। এসব চিন্তা করেই গরম অব্যাহত থাকলে অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার চিন্তা করছে মাউশি।

মাউশির এক কর্মকর্তা বলেন, নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নে কমপক্ষে ১৮৫ দিন বিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত রাখা অবশ্যক। কারণ নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নে শিক্ষক প্রশিক্ষণ, শিক্ষার্থীদের প্রতিষ্ঠানের বাইরে তথ্য সংগ্রহসহ নানা কারণে আগের চেয়ে বেশি সময় প্রয়োজন হয়। কিন্তু এবার ১৪০ দিন ক্লাস হওয়ার কারণে সিলেবাস শেষ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তাই আর ছুটি বাড়ানোর সুযোগ নেই। আগামী বছর থেকে সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিনের পরিবর্তে এক দিন করে ১৮৫ দিন ক্লাস নিশ্চিত করার সিদ্ধান্তও নেয়া হতে পারে।

তিনি আরো বলেন, অনির্ধারিত ছুটির কারণে শিক্ষাসূচি বিঘ্নিত হয়। ছাত্র-ছাত্রীরা তখন শিখন ঘাটতির মধ্যে পড়ে। চলমান এই অনির্ধারিত ছুটি শেষ হলে গরমের তীব্রতা থাকলেও ছুটি না বাড়িয়ে অনলাইন ক্লাসের আয়োজন করা উচিত। এতে অন্তত শিখন ঘাটতি থেকে রক্ষা পাবে ছাত্র-ছাত্রীরা। 

অনলাইন ক্লাসের ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে অভিভাবক ঐক্য ফোরামের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউল কবির দুলু গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলেছি। সার্বিক দিক চিন্তা করেই স্কুল-কলেজ বন্ধ আর না বাড়িয়ে অনলাইনে ক্লাস চালুর কথা বলেছি। নতুন কারিকুলামে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখলে শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত বেশি হবে।’

শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করে ঘরে বসেই যেন পড়ালেখা চালিয়ে যেতে পারে, সে ব্যাপারে সরকারের পদক্ষেপ নেওয়ার জোর দাবি জানান অভিভাবক ঐক্য ফোরামের এ নেতা।

জনপ্রিয়