রাঙামাটি । শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪ , ১৯ বৈশাখ ১৪৩১

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

প্রকাশিত: ১৪:২২, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

শহিদ এম আবদুল আলীর শাহাদাত বার্ষিকী পালন

শহিদ এম আবদুল আলীর শাহাদাত বার্ষিকী পালন

পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রথম স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত শহিদ এম আবদুল আলীর ৫৩তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর ম্যুরালে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পুস্পস্তবক অর্পন করা হয়েছে।

শনিবার বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসন চত্বরে শহিদ এম আবদুল আলীর ম্যুরালে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন জেলাপ্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান। পুস্পস্তবক অর্পণ শেষে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর শহিদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া করা হয়।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জোবাঈদা আক্তার, এনডিসি মোঃ শামীম হোসেন, শহিদ এম আবদুল আলীর জীবনীগ্রন্থের লেখক ইয়াছিন রানা সোহেল সহ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ উপস্থিত ছিলেন।

শহিদ এম আবদুল আলীর শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কোরআন খতম ও এতিমদের জন্য মধ্যহ্নভোজের আয়োজন করা হয়। এদিকে দিনটি উপলক্ষে শহিদ আবদুল আলী একাডেমির উদ্যোগে শহিদ বেদীতে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়। উল্লেখ্য ১৯৭১ সালে এম আবদুল আলী রাঙামাটি মহকুমা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে রাঙামাটির ছাত্র যুবকদের সংগঠিত করে যুদ্ধ প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নেন। ১৬ এপ্রিল মুক্তিযোদ্ধাদের অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহ করতে এসে পাকিস্তানী বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন। ১২ দিন নির্মম নির্যাতনের পর মুমূর্ষু এম আবদুল আলীর নিথর দেহ কেটে টুকরো টুকরো করে বস্তাবন্দি করে লাশ পানিতে ফেলে দেয়া হয়। স্বাধীনতা সংগ্রামে অসামান্য ও অনবদ্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ সরকার ২০১৬ শহিদ এম আবদুল আলীকে মরণোত্তর স্বাধীনতা পদকে ভুষিত করে। আর এটিই তিন পার্বত্য জেলায় প্রথম স্বাধীনতা পদক অর্জন

জনপ্রিয়