রাঙামাটি । রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪ , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

ব্রেকিং

সেনাবাহিনীকে জড়িয়ে আবারও ‘হিল ভয়েসের অপপ্রচার’পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির পথ দেখিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব : কাপ্তাইয়ে প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরাপার্বত্যাঞ্চলের পরিস্থিতি অবনতি ঘটলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে : বীর বাহাদুর ঊশৈসিং এমপিসাজেকে নিহত ৯ জনের ময়নাতদন্ত শেষে হস্তান্তর, আহত ২ শ্রমিককে ঢাকায় প্রেরণকাপ্তাই হ্রদে ৩ মাসের জন্য মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা শুরুকেএনএফ প্রধান নাথান বমের স্ত্রী ‘নিখোঁজ’সাজেকে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯, পরিচয় মিলেছে ২ জনের!তীব্র তাপদাহ: জনগণকে সচেতন করতে প্রচারণায় নেমেছে রাঙামাটি স্বাস্থ্য বিভাগকাপ্তাই পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৫ ইউনিটের ৪টিই বন্ধ, উৎপাদন কমে ৩০ মেগাওয়াট

নিউজ ডেস্কঃ-

প্রকাশিত: ১২:৪৪, ২৫ জুলাই ২০২০

করোনার প্রভাবে কাপ্তাইয়ে কামাররা কর্মহীন অলস সময় কাটাচ্ছে

করোনার প্রভাবে কাপ্তাইয়ে কামাররা কর্মহীন অলস সময় কাটাচ্ছে

মোঃ নজরুল ইসলাম লাভলু, কাপ্তাইঃ- কোরবানের ঈদ এলেই কামাররা ব্যস্ত সময় পার করতো। দা, ছুরি, বটিসহ বিভিন্ন  লৌহা জাতীয় জিনিস তৈরিতে দিন-রাত ব্যস্ত সময় কাটাতো কামাররা। কিন্ত এবার বিশ্ব ব্যাপী করোনা ভাইরাসের ফলে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে। সেই প্রভাব পড়েছে কাপ্তাইয়ের ব্যবসায়িক প্রাণকেন্দ্র নতুন বাজারে।  

প্রতিবছর এই বাজার সংলগ্ন আনন্দ মেলা মাঠে বসতো বিশাল গরু ছাগলের হাট। কাপ্তাই, রাঙ্গুনীয়া, বিলাইছড়ি হতে ক্রেতা বিক্রেতাদের সরগমে মুখরিত হতো এই হাট। এর প্রভাব পড়তো কামারের দোকানেও। এবছর বেচাবিক্রি কম থাকায় কাজ কমেছে কামারের দোকানে। ফলে কাপ্তাইয়ের কামাররা বর্তমানে কর্মহীন অলস সময় কাটাচ্ছে।

শনিবার (২৫ জুলাই) নতুন বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, কামাররা অলস বসে সময় পার করছে। কামার আরিফ জানান,আগের বছরে কোরবানি ঈদের ১৫ দিন আগে থেকে দিন-রাত নতুন দা, ছুরি, বটি তৈরি এবং শান দিতে ব্যস্ত সময় পার করতে হতো। দিনে আয় হতো ৩-৪ হাজার টাকা। আর এখন করোনা ভাইরাসের কারণে কোন কাজ নেই। দিনে ৩-৪শ’ টাকা আয় করতে পারিনা। লোকজন আগের মত আর দা, ছুরি, বটি নিয়ে আসেনা এবং অর্ডারও দেয়না। তাই কাজ নেই, ব্যস্ততাও নেই। এ অবস্থায় পরিবার পরিজন নিয়ে কষ্টে দিনযাপন করতে হচ্ছে।

নতুন বাজার ব্যবসায়ী কল্যান সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো: একরামুল হক জানান, করোনা ভাইরাসের ফলে এবার বহু মানুষ কোরবানী দিতে পারছে না। পশুর হাটও আগের মতো জমে উঠছে না। ফলে বেচা বিক্রিও নেই হাটে। যে কারণে কামারদের এখানে লৌহ জাতীয় জিনিস তৈরি এবং বিক্রিতে ভাটা পড়েছে।

এই শিল্পের সাথে জড়িত কামাররা সরকারের নিকট আবেদন করছে, অন্তত এবছর তাদেরকে আর্থিক প্রণোদনা দিয়ে হলেও এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখা হউক।

আলোকিত রাঙামাটি

সম্পর্কিত বিষয়:

জনপ্রিয়