রাঙামাটি । মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪ , ২৩ বৈশাখ ১৪৩১

প্রকাশিত: ১১:৩০, ১২ এপ্রিল ২০২১

কাপ্তাইয়ের রাইখালীতে ছাগল পালনে স্বাবলম্বী এক দম্পতি

কাপ্তাইয়ের রাইখালীতে ছাগল পালনে স্বাবলম্বী এক দম্পতি

মোঃ নজরুল ইসলাম লাভলু, কাপ্তাইঃ- কাপ্তাই উপজেলাধীন রাইখালী ইউনিয়নের বড়খোলা মারমা পাড়ায় বসবাসরত আথোয়াই মারমা-সুইনুচিং মারমা দম্পতি ছাগল পালন করে আজ স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছেন।

খোঁজ খবর নিয়ে বিষয়টি জানতে সরেজমিন ছুটে যান কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুনতাসির জাহান। রাইখালী ফেরিঘাট থেকে প্ররায় ৩-৪ কিঃমিঃ সড়ক পথ হয়ে অপরুপ দৃষ্টি নন্দন বড়খোলা মারমা পাড়ায় গত বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে প্রচন্ড গরম উপেক্ষা করে ছুটে যান ইউএনও।

ছোট পাহাড়ের উপর আথোয়াই মারমা-সুইনুচিং মারমা দম্পতির বসবাস। হঠাৎ তাদের বাড়ীতে প্রবেশ করলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুনতাসির জাহান। সাথে ছিলেন কাপ্তাই উপজেলা প্রাণী সস্পদ কর্মকর্তা ডাঃ তাহমিনা আরজু, চন্দ্রঘোনা থানার ওসি ইকবাল বাহার চৌধুরী এবং উপজেলা নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মোঃ ইলিয়াস। এই প্রথম উপজেলা প্রশাসনের কোন নির্বাহী অফিসারের এই পাড়ায় আগমন। প্রস্তুত ছিলেন না এই দম্পতি  তাদের আগমনের। এ যেন মেঘ না চাইতে বৃষ্টি। পরিচয় পর্ব জানার পর হাসিমুখে বরণ করে নিলেন তাদের। ওই দম্পতির ছাগল পালন কর্মসূচী দেখতেই এই পাড়ায় প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের আগমন।

কথা হয় এই দম্পতির সাথে তারা জানান, বছর দুই আগে তাদের নিজের কিছু সঞ্চিত টাকা এবং 'আমার বাড়ী, আমার খামার: প্রকল্প হতে ঋণ নিয়ে উপজেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তর থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে তারা। এরপর মাত্র ২টি ছাগল কিনে এই খামারের যাত্রা শুরু করেন, বর্তমানে তাদের ১১টি ছোট বড় ছাগল রয়েছে। মাঝে কয়েকটি ছাগল বিক্রি করে দেয় তারা, এই ছাগল পালন করে তা হতে আয় দিয়েই তাদের সংসার এবং ছেলে মেয়েদের পড়ালেখার সব কিছু যোগান দেওয়া হয়। 

কাপ্তাই উপজেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তরের উপ সহকারী প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা অমল কান্তি দে জানান, তারা সবসময় প্রাণী সম্পদ দপ্তরের কাছ থেকে পরামর্শ গ্রহণ করেন। মাঝে মাঝে ওই দপ্তর হতে এসে তাদের খামারের ছাগলের ভ্যাকসিন প্রদান করাসহ অন্যান্য পরামর্শ দেওয়া হয়।

কাপ্তাই উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ তাহমিনা আরজু জানান, তাদের খামারের ছাগলের জাত যমুনাপাড়ি। তারা এই দপ্তর হতে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেই ছাগল পালনের কাজে সম্পৃক্ত হয়েছে।

কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুনতাসির জাহান বলেন, সরকারের দারিদ্র্য বিমোচনের একটি অন্যতম প্রকল্প "আমার বাড়ী আমার খামার" প্রকল্প হতে এসব দরিদ্র জনগোষ্ঠী সহজ শর্তে ঋণ নিয়ে হাঁস মুরগী পালন, গবাদিপশু পালন, কৃষি কাজসহ নানা আয়বান্ধব কাজে নিজেদের সম্পৃক্ত করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। তিনি এই কাজে অন্যান্যদেরও এগিয়ে আসার পরামর্শ দেন। 

আলোকিত রাঙামাটি

জনপ্রিয়