রাঙামাটি । বুধবার, ০৮ মে ২০২৪ , ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

রাঙামাটি (সদর) প্রতিনিধিঃ-

প্রকাশিত: ২০:৩০, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০

সড়কে যাত্রী হয়রানী বন্ধ ও উন্নত গাড়ী চলাচলের দাবী রাঙামাটিবাসীর

সড়কে যাত্রী হয়রানী বন্ধ ও উন্নত গাড়ী চলাচলের দাবী রাঙামাটিবাসীর

রাঙামাটি (সদর) প্রতিনিধিঃ- রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কে যাত্রী হয়রানী বন্ধ ও উন্নত গাড়ী চলাচলের দাবীতে এক জোট হয়েছে রাঙামাটির সর্বস্তরের জনগণ। সোমবার (৩ জানুয়ারী) চট্টগ্রাম-রাঙামাটি মোটর মালিক সমিতির কার্যালয়ে সমিতির দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তাদের কাছে দাবী জানান রাঙামাটির সাধারণ জনসাধারণ। রাঙামাটির সাধারণ জনগণ সমিতির নেতৃবৃন্দকে বিভিন্ন ভাবে দাবী ও প্রশ্ন করলেও তারা কোন উত্তর দিতে পারেনি।

চট্টগ্রাম-রাঙামাটি মোটর মালিক সমিতির সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ আব্দুর রহমান গতকাল রাঙামাটি জেলা কার্যালয়ে আসলে উপস্থিত রাঙামাটির সাধারণ জনগণের তোপের মুখে পড়ে। রাঙামাটির সাধারণ জনগণের তোপের মুখে পড়ে সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমি চাই রাঙামাটিতে ভালো গাড়ী আসুক এবং আমরাও সহযোগিতা করবো। 

পরে সাংবাদিকরা এসে রাঙামাটিতে যে কোন রুটে গাড়ী চলাচল করতে তাদের কোন বাধাঁ আছে কিনা জানতে চাইলে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেই গাড়ী নামাক না কেন আমাদের সাথে আলোচনা করতে হবে। আমাদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে গাড়ী চালানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে। 

প্রতিটি নতুন গাড়ী নামাতে সমিতিকে ৫ থেকে ৬ লক্ষ টাকা দেয়ার প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা কোন টাকা নেই না। সমিতির সদস্য হিসাবে শেয়ার ক্রয় করে আমাদের কাছ থেকে ৪ লক্ষ টাকা দিয়ে। বিভিন্ন কোম্পানীর রিকন্ডিশান যে গাড়ী গুলো আছে তার রুট পারমিট আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, রুট পারমিট নাই তবে কিছু দিনের মধ্যে এ গুলোর রুট পারমিট হয়ে যাবে। তাদের বৈধ কাগজপত্র আছে কিনা তা জানতে চাইলে তারা কোন কাগজ পত্র দেখাতে পারেনি।

এই অবস্থায় পরবর্তীতে রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মোঃ মুছা মাতব্বর, নিউ রাঙামাটি রিজার্ভ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাজী মোঃ বানু মিয়া সহ সকলের উপস্থিতিতে রাঙামাটি যাত্রী সেবা নিশ্চিত করার জন্য দাবী জানান।

যাত্রী সেবা যতদিন নিশ্চিত করা হবে না ততদিন পর্যন্ত রাঙামাটি থেকে কোন প্রকার টাকা পয়সা চট্টগ্রাম সমিতির কাছে যাবে না বলে দাবী তোলেন নেতৃবৃন্দ। এ সময় রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মোঃ মুছা মাতব্বর বলেন, আগামীকাল থেকে রাঙামাটির প্রতিটি গাড়ীর জন্য যে চাঁদা সমিতি গ্রহণ করে তা এখানেই থাকবে, চট্টগ্রাম সমিতিতে যাবে না। নতুন ব্যাংক একাউন্ট করে এই টাকা ব্যাংকে জমা রাখা হবে। যতদিন পর্যন্ত যাত্রী সেবার মান উন্নত হবে না ততদিন পর্যন্ত একটি টাকাও তাদের দেয়া হবে না। 

চট্টগ্রাম-রাঙামাটি মোটর মালিক সমিতি প্রতি দিন প্রতিটি গাড়ী থেকে ১০০ টাকা এবং ঢাকার গাড়ী থেকে ৫১০ টাকা করে মোট প্রায় ১১ হাজার টাকা করে মাসে ৩ লক্ষ টাকার অধিক রাঙামাটি জেলা বাসীর থেকে টাকা চট্টগ্রাম-রাঙামাটি মোটর মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দরা ভোগ করছে। এছাড়া প্রতি মাসে দোকান ভাড়া বাবদ ৩৭ হাজার টাকা এবং সালামীর টাকাও এই সমিতি গ্রহণ করছে। এই টাকা থেকে রাঙামাটি জেলাবাসী কোন সুযোগ সুবিধাও গ্রহণ করতে পারছে না বলেও দাবী উঠে।

আলোকিত রাঙামাটি

জনপ্রিয়